Weather Update: ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ১২২ বছরের মধ্যে এই বছরের ফেব্রুয়ারি ছিল সবচেয়ে উষ্ণ (Heatwave)। এই সময়ে দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, ১৯০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এমন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যখন গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৮১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ৩ মাস গরমে মানুষের সমস্যা হতে পারে। ১লা মার্চ থেকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর সারা দেশের জন্য তাপপ্রবাহের জন্য রঙ-কোডেড সতর্কতাও জারি করবে।
দেশের অনেক এলাকায় তাপমাত্রা আগের বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে উত্তর-পূর্ব, পূর্ব এবং মধ্য ভারতের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের তাপমাত্রা মার্চ থেকে গড় তুলনায় বাড়বে। আগামী তিন মাসে ভারতে তাপের কারণে জনজীবন ব্যাহত হবে। তাপপ্রবাহের প্রভাব দেশের অনেক জায়গায় দেখা যাবে, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারত, মধ্য ভারতের কিছু অংশ, পশ্চিম ভারত এবং উত্তর ভারতে।
মার্চ থেকেই গ্রীষ্ম শুরু হবে, সাবধান
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার মার্চ থেকেই তাপের প্রভাব দেখা যাবে। কয়েক বছর আগেও মার্চে হোলির পর পর্যন্ত ঠান্ডার প্রভাব দেখা গেলেও এবার দেখা যাচ্ছে উল্টো। দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান, ওডিশা, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশ এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং কেরালার বেশিরভাগ অংশে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতের আবহাওয়া দফতরের মতে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা দিল্লি, ইউপি এবং রাজস্থানের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
রাতের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে
আগামী ৩ মাসে দিনের বেলায় প্রচণ্ড তাপ থাকবে, তাই রাতের তাপমাত্রাও গড়ের উপরে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কেরালার কিছু এলাকায় প্রচণ্ড গরমের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে তাপপ্রবাহ ও রাতের তাপমাত্রা বেশি থাকতে পারে।