ময়ূর বিহারে মন্দির ভাঙার বিরুদ্ধে ৩ মন্দিরের আবেদন খারিজ, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তিনটি মন্দিরের কমিটির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যেগুলি ময়ূর বিহার(Mayur Vihar) ফেজ ২-এ অবস্থিত। পুর্ব দিল্লি কালীবাড়ি সমিতি, শ্রী অমরনাথ মন্দির সংস্থা,…

Supreme Court Sets Precedent by Revoking Its Own Order

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তিনটি মন্দিরের কমিটির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যেগুলি ময়ূর বিহার(Mayur Vihar) ফেজ ২-এ অবস্থিত। পুর্ব দিল্লি কালীবাড়ি সমিতি, শ্রী অমরনাথ মন্দির সংস্থা, এবং শ্রী বাদ্রীনাথ মন্দির। এই মন্দিরগুলোর পক্ষ থেকে ১৯ মার্চ ডিডিএ (দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) কর্তৃক জারি করা ধ্বংস নোটিশের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছিল।

এই আবেদনের শুনানির জন্য বিচারপতি বিক্রম নাথ, সঞ্জয় করোল এবং সঞ্জয় মেহতা গঠিত বেঞ্চ প্রথমে বিষয়টি শোনার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে আবেদনকারীদের দিল্লি হাইকোর্টে যেতে অনুমতি দেয়। আদালত বলেছে। তারা যদি চান, তবে বিষয়টি দিল্লি হাইকোর্টে উঠিয়ে নিতে পারেন।

   

মন্দিরগুলোর পক্ষ থেকে আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন আবেদনপত্র দাখিল করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে ১৯ মার্চ রাত ৯টায় ডিডিএর পক্ষ থেকে একটি সাধারণ নোটিশ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, এবং বলা হয়েছিল যে মন্দিরগুলো ২০ মার্চ ২০২৫, সকাল ৪টায় ভেঙে ফেলা হবে। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ডিডিএ বা কোনও ধর্মীয় কমিটির পক্ষ থেকে মন্দিরগুলিকে শুনানির কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি।

আবেদনকারীরা জানিয়েছেন যে, এই মন্দিরগুলি ৩৫ বছর পুরনো এবং ডিডিএ কালীবাড়ি সমিতিকে মন্দিরের সামনে থাকা জমিতে দুর্গা পূজা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছিল। আবেদনটি অভিযোগ করেছে, “ডিডিএ নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্দিরগুলিকে ভেঙে ফেলতে চায়, যা সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায় এবং ভারতীয় সংবিধানের ১৪ এবং ২৫ ধারার বিরুদ্ধে। ডিডিএ বা কোন ধর্মীয় কমিটি মন্দিরগুলিকে কোনও শুনানির সুযোগ দেয়নি।”এই আবেদনে ডিডিএর ধ্বংস নোটিশগুলো বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে।

Advertisements

মন্দিরগুলোর পক্ষ থেকে করা আবেদনটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করলেও, সুপ্রিম কোর্ট তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে যে এই বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচার করা যেতে পারে এবং বিষয়টি দিল্লি হাইকোর্টে পাঠানো হবে। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কোনো আগাম সতর্কতা ছাড়াই এমন এক পদ্ধতিতে মন্দির ভাঙার নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যা ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করে।

ডিডিএর এই পদক্ষেপের ফলে মন্দির কমিটি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মন্দিরগুলোর জন্য ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছেন এবং তাদের কাছে আবেদন রয়েছে যাতে এই মন্দিরগুলিকে রক্ষা করা হয়। মন্দিরগুলির পক্ষে আরও বলা হয়েছে যে, যদি মন্দিরগুলির ওপর এই ধরনের অবৈধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

এই সিদ্ধান্তের পর, স্থানীয় বাসিন্দা এবং মন্দির কমিটি সমূহের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং উদ্বেগ বাড়ছে। তবে তাদের এখনও আশা রয়েছে যে, দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনটি গ্রহণ করা হবে এবং তারা মন্দিরগুলির অবস্থা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবেন।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News