২০২৬ সাল মার্কিন করদাতাদের জন্য হতে পারে এক অভূতপূর্ব আর্থিক স্বস্তির বছর। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সাম্প্রতিক কর সংস্কার আইনের কারণে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যেতে পারে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্যাক্স রিফান্ড মরসুম।
২০২৫ সালের জুলাই মাসে পাস হওয়া এই আইনের আনুষ্ঠানিক নাম “One Big Beautiful Bill”, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই “বিগ বিউটিফুল বিল” নামে অভিহিত করেছেন। এই আইনটি ট্রাম্পের সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ও কর সংস্কার কর্মসূচিকে একত্র করেছে বলে জানিয়েছে Bloomberg। এতে প্রায় ৪.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কর ছাড় এবং ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের সরকারি ব্যয় হ্রাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এই প্যাকেজটি আমেরিকান পরিবারের হাতে আরও বেশি অর্থ ফেরত দেবে এবং দেশের অর্থনীতিকে নতুন গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আইনের অন্যতম বড় প্রভাব পড়বে ২০২৫ করবর্ষের রিটার্নে, যা জমা দেওয়া হবে ২০২৬ সালের শুরুর দিকে। আইনে বেশ কিছু নতুন কর ছাড় (tax breaks) ও ডিডাকশন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কিন্তু, IRS এখনও পর্যন্ত নতুন আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে withholding table হালনাগাদ করেনি। ফলে, বর্তমানে অনেক কর্মী তাদের বেতনের মাধ্যমে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কর দিচ্ছেন। এর অর্থ হলো — তারা যখন ২০২৬ সালে রিটার্ন জমা দেবেন, তখন বিশাল অঙ্কের রিফান্ড পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই অতিরিক্ত অর্থ মার্কিন ভোক্তা খরচ বাড়াতে পারে, যা অর্থনীতিতে এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে কিছু বিশ্লেষক সতর্ক করেছেন, হঠাৎ বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত পাওয়া গেলে স্বল্পমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি (inflation) সামান্য বাড়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, এই কর ছাড় মূলত দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়াবে, বিনিয়োগে উৎসাহ দেবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, “আমেরিকানরা তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল নিজেরা উপভোগ করবে। এই বিলের মাধ্যমে আমরা পরিবারগুলোর হাতে আরও বেশি অর্থ ফিরিয়ে দিচ্ছি।”
