কাঞ্চনজঙ্ঘার মাথায় হাতির মতো দাপাচ্ছে মেঘ, ধসে বিচ্ছিন্ন সিকিম

টানা বৃষ্টিতে ক্রমে জটিল হচ্ছে সিকিম সহ উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি। দক্ষিণ সিকিমে পাহাড় থেকে বাসের ওপর পাথর গড়িয়ে পড়ে একজনের মৃত্যু ও চারজন গুরুতর আহত হওয়ার…

টানা বৃষ্টিতে ক্রমে জটিল হচ্ছে সিকিম সহ উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি। দক্ষিণ সিকিমে পাহাড় থেকে বাসের ওপর পাথর গড়িয়ে পড়ে একজনের মৃত্যু ও চারজন গুরুতর আহত হওয়ার খবর মিলেছে। গত দুদিন ধরে বিপর্যয় চলছে।

লাচুং যাওয়ার পথেও নেমেছে বিরাট ধস। ভেসে গেছে শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়া বালাসন নদীর উপর নির্মিত অস্থায়ী ব্রিজের অ্যাপ্রচ রোড।

   

বুধবার শিলিগুড়ি থেকে সিকিম গামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধ্বস নামে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল রাতেও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই কারণেই মাটি নরম হয়ে আচমকাই বড় পাথরটি গড়িয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ সিকিমের সমরডুংয়ের কাছে একটা ওষুধ কোম্পানির বাসের ওপর পাহাড় থেকে একটা পাথর গড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। দূর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্য চারজন গুরুতর আহত হয়েছে।

Advertisements

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গত ১৪ই জুন থেকে ডুয়ার্সে শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত।এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে নাজেহাল ডুয়ার্সের মানুষ। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারের সকালের ছবিটাও ঠিক একই রকম। ডুয়ার্সের গয়েরকাটা এলাকায় বৃষ্টির জমা জলে চরম দূর্দশা সাধারণ মানুষের।গভীর রাত থেকে ঘরে ঢুকতে শুরু করেছে বৃষ্টির জল। খাবার ঘর,রান্না ঘর, শোবার ঘর সবেতেই প্রায় এক হাটু জল।

অন্যদিকে, গতকাল রাতে বালাসন নদীর উপর হিউম পাইপ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ব্রিজটির অ্যাপ্রচ রোড জলের তোড়ে অনেকটাই ভেসে যায়। যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। আজ সকালে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং তারপরেই শুরু হইয়েছে ঘুরপরথে যান চলাচল।

গত দু’দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির ফলে জল বেড়েছে তিস্তা নদীর৷ নদীতে জল বাড়ায় সেচ দফতরের পক্ষ থেকে দোমহনী থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সংকেত। বর্ষার শুরুতেই তিস্তায় জল বাড়ায় চিন্তিত জেলা পুলিশ৷ রাত নটা নাগাদ তিস্তা নদী পরিদর্শনে যান জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত।