Himachal Pradesh: মহাকাশে চন্দ্রবিজয় আর মর্ত্যে বিপর্যয়, অবৈজ্ঞানিক কাজের জেরে ধংসপুরী কুলু

মহাকাশে চন্দ্র জয়ের বৈজ্ঞানিক সাফল্য। আর অনিয়ন্ত্রিক পরিকাঠামোর খেসারত মর্ত্যে। হিমালয়ে আরও বড় বিপর্যয়। হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) তাসের ঘরের মতো ভাঙছে বাড়ি। বিখ্যাত শৈলশহর…

মহাকাশে চন্দ্র জয়ের বৈজ্ঞানিক সাফল্য। আর অনিয়ন্ত্রিক পরিকাঠামোর খেসারত মর্ত্যে। হিমালয়ে আরও বড় বিপর্যয়। হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) তাসের ঘরের মতো ভাঙছে বাড়ি। বিখ্যাত শৈলশহর কুলু ধংসপুরী। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে একের পর এক বাড়ি। অনিয়ন্ত্রিত পরিকাঠামো গঠন কতটা ভয়াবহ হতে পারে তার অশনি সংকেত আগেই দিয়েছিলেন ভূ ও প্রকৃতি বিজ্ঞানীরা। সেই আশঙ্কা আগেও ভয়াবহ বাস্তব হয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়েও হিমাচল ও উত্তরাখণ্ড দুই রাজ্যে ধংস হয়েছে জনপদ। এবার হিমাচলের কুলু, বাঙালির অতি প্রিয় পর্যটন গন্তব্যে শুরু হয়েছে প্রকৃতির প্রতিশোধ।

হিমাচল প্রদেশের কুলুতে ভয়াবহ বিপর্যয়। তাসের ঘরের মতো একের পর এক ভেঙে পড়ল বড় বড় বহুতল, বাড়ি। ফুসছে পাহাড়ি নদী। হাড় হিম করা পরিস্থিতি গোটা এলাকা জুড়ে। বৃষ্টি ধ্বসে বিপর্যস্ত গোটা হিমাচল প্রদেশ। একই দৃশ্য ধরা পড়ে উত্তরাখন্ডেও। বেলাগাম নগরায়নে বড় সর্বনাশ। বিভিন্ন জায়গায় ধসে পড়ছে একের পর এক বাড়ি, বহুতল। কখনও আবার হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের বসতি বাড়ি। চোখের নিমেষে আস্ত বাড়ি পরিণত ধ্বংসস্তূপে।

জুলাইয়ের পর ফের বিপর্যয়। বিশেষজ্ঞ রায়ের প্রধান কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, বর্ষা অতি সক্রিয়। এই বিপুল পরিমাণ জল যাওয়ার নেই কোনও জায়গা। আরো জানা গিয়েছে, সমতলে এত বেশি বৃষ্টি হলে জল দাঁড়িয়ে যায়। তবে পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাত বেশি হলে তা হড়পা বানের আকার ধারণ করে। পাহাড়ি নদীতে উন্নয়নের বাঁধে হড়পা বানের মতো ভয়ানক পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়ছে একের পর এক বহুতল বাড়ি।