Gujarat: দরগা ভাঙার নোটিশ ঘিরে সংঘর্ষে জুনাগড়ে মৃত্যু, তীব্র উত্তেজনা

অবৈধ ভাবে তৈরি হওয়া একটি দরগা ভাঙার নোটিশকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো গুজরাটের জুনাগড়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ৫০০, ৬০০ মানুষ উপস্থিত হয় দরগার সামনে। এরপরেই…

অবৈধ ভাবে তৈরি হওয়া একটি দরগা ভাঙার নোটিশকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো গুজরাটের জুনাগড়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ৫০০, ৬০০ মানুষ উপস্থিত হয় দরগার সামনে। এরপরেই রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে গোটা এলাকা। সংঘর্ষে ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একজনের, সঙ্গে আহত হয়েছে তিনজন পুলিশকর্মী। আহতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ট। এই গোটা ঘটনার জেরে পুলিশ এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে ১৭৪ জনকে।

জানা গেছে, জুনাগড়ে তৈরি হয়েছিল একটি অবৈধ দরগা। জুনাগড় পৌরসভার তরফে সেই দরগা ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়ে একটি নোটিশ জারি করা হয়। কর্তৃপক্ষকে পাঁচদিনের মধ্যে ওই দরগা ভেঙ্গে ফেলতে বলা হয়। নোটিশটি স্থানীয়দের নজরে আসতেই তারা এই নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করে।

শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা দরগা সংলগ্ন এলাকা। যা রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। চারিদিকে শুরু হয় পাথর ছোড়া ও ভাঙচুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। তারা এসে ১৭৪ জনকে আটক করে। ঘটনায় নিহত হয় একজন। এছাড়াও আহত হয় তিনজন পুলিশ কর্মী। আহতদের মধ্যে ছিলেন পুলিশের ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ট।

জানা যায়, ১৪ জুন নোটিশ জারি করে দরগা ভাঙার জন্য ৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোনও জবাব না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় শুরু হয় গণ্ডগোল। মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে ৫০০-৬০০ জন মানুষ জড়ো হয়ে পাথর ছুঁড়তে থাকেন। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।

গোটা ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে দরগার বাইরে সারিবদ্ধ ভাবে মারধর করা হচ্ছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে অসামরিক পোশাক পরা দুই ব্যক্তি তাদের মুখে রুমাল বেঁধে লাইনে দাঁড়ানো লোকজনকে মারধর করছে।