নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা মানিশ তিওয়ারির সাম্প্রতিক মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের ঝড়। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন এবং জনগণের প্রতিক্রিয়াকে তুলে ধরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন শ্রীলঙ্কার গোতাবায়া রাজাপক্ষে, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা, নেপালের কেপি শর্মা ওলি এবং ফিলিপাইনের ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের প্রতি জনগণের ক্ষোভ ও আন্দোলনের কথা। তাঁর কথায়, বংশপরিচয় বা ক্ষমতার হেরফেরকে জনগণ আর সহ্য করছে না; নতুন প্রজন্ম সক্রিয়ভাবে এই ধরনের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
আক্রমণ বিজেপি’র
বিজেপি অবশ্য এই মন্তব্যকে কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতি ইঙ্গিত হিসেবে দেখেছে। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতারাও রাহুল গান্ধীর রাজনীতিতে অসন্তুষ্ট। বিদ্রোহ শুরু হয়েছে ভেতর থেকেই।”
মালব্যর আক্রমণের জবাবে মানিশ তিওয়ারি বলেন, “এই বিষয়কে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। বিষয়টি বৃহত্তর রাজনীতি এবং জনগণের সচেতনতা নিয়ে।” তিনি স্পষ্ট করেছেন, দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক উদ্ভব এবং জনগণের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপটেই তার এই মন্তব্য৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত Manish Tewari Political Dynasty
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল ব্যক্তি বা দলকে নিয়ে বিতর্ক নয়। এটি প্রকাশ করছে যে প্রজন্ম X, Y ও Z এখন রাজনৈতিক বংশপরিচয়, ক্ষমতার হেরফের এবং অনুচিত প্রথার প্রতি আরও তীব্রভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। ভারতেও এই তীব্র প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতাদের উপর জনগণের আস্থা ও ধৈর্য পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে।
তিওয়ারির মন্তব্য শুধু বিতর্কই সৃষ্টি করছে না, বরং ভারতের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার পথও খুলছে। এটি দেখাচ্ছে, রাজনৈতিক প্রথা ও বংশপরিচয় নির্ভর শক্তির ক্ষেত্রে জনগণ আজ আরও সচেতন, বিচক্ষণ এবং প্রতিবাদী৷

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
