মণিপুরে দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা

মণিপুরে (Manipur) শনিবার ছয়জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় দুই মন্ত্রী এবং তিন বিধায়কের বাড়িতে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিরিবাম জেলায়…

Manipur Violence

মণিপুরে (Manipur) শনিবার ছয়জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় দুই মন্ত্রী এবং তিন বিধায়কের বাড়িতে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিরিবাম জেলায় এই হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইম্ফলের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ দানা বাঁধে।

হিংসাত্মক পরিস্থিতি সামাল দিতে ইম্ফল পশ্চিম জেলার প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে। পাশাপাশি ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাকচিং, কাংপোকপি এবং চূড়াচাঁদপুর জেলায় ইন্টারনেট ও মোবাইল ডেটা পরিষেবা দুই দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

   

বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু
প্রথম ঘটনাটি ঘটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সাপম রঞ্জনের লামফেল সানাকেইথেল এলাকার বাড়িতে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে, সাগোলব্যান্ড এলাকায় বিজেপি বিধায়ক আর কে ইমোর বাড়ির সামনে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। আর কে ইমো, যিনি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের জামাই, তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে এবং এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

কেইশ্যামথং বিধানসভা কেন্দ্রের স্বতন্ত্র বিধায়ক সাপম নিশিকান্ত সিংহের বাড়িতে যাওয়ার পর, তাকে অনুপস্থিত পেয়ে বিক্ষোভকারীরা তার মালিকানাধীন একটি স্থানীয় সংবাদপত্রের অফিসে হামলা চালায়।

অপহরণ ও হত্যার ঘটনা
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ দিন আগে জিরিবাম জেলার বোকোবেরা এলাকার মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা ও তিন শিশু, যাদের মধ্যে একজন ছিল মাত্র আট মাসের শিশু, কুকি বিদ্রোহীদের দ্বারা অপহৃত হয়।

একটি দল সিআরপিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকাকালীন অন্য একটি দল মহিলাদের এবং শিশুদের অপহরণ করে। পরে, অপহৃত ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মণিপুরে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাত
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত চলেছে। হিন্দু মেইতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং খ্রিস্টান কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই সংঘর্ষের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে।