Manipur Violence: হামলায় আতঙ্কিত পুলিশ, ফের কারফিউ মণিপুরে

জাতিগত সংঘর্ষে শতাধিক নিহত হওয়ার পরেও বিজেপি শাসিত মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি সে রাজ্যের সরকারের হাতে নেই। সংঘর্ষ চলছেই। ফের কারফিউ জারি হলো। রাজধানী ইম্ফলের…

Manipur Violence: হামলায় আতঙ্কিত পুলিশ, ফের কারফিউ মণিপুরে

জাতিগত সংঘর্ষে শতাধিক নিহত হওয়ার পরেও বিজেপি শাসিত মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি সে রাজ্যের সরকারের হাতে নেই। সংঘর্ষ চলছেই। ফের কারফিউ জারি হলো। রাজধানী ইম্ফলের সর্বত্র কারফিউ শিথিল নির্দেশ তুলে নেওয়া হলো। সধারণ মানুষের কথা ভেবে আগেই শিথিল করা হয়েছিল কারফিউ। ইম্ফলের পূর্বাঞ্চলে ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল যাতে সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারেন। আজ, বৃহস্পতিবার তুলে নেওয়া হল সেই ‘কারফিউ রিলাক্সেশন’।

কেন তুলে নেওয়া হল কারফিউ? ফের সংঘর্ষ শুরু এই রাজ্যে। পাঁচজন ‘গ্রামরক্ষক’কে পুলিস গ্রেফতার করেছে তাদের মুক্তি দিতে হবে এই দাবিতে হঠাৎই মণিপুরের বিভিন্ন উপত্যকার স্থানীয় মহিলারা থানাগুলিতে হামলা চালান। বৃহস্পতিবার, দুপুর দেড়টা নাগাদ পশ্চিম ইম্ফলের সিঙ্গজামেই পুলিস স্টেশনে কয়েক হাজার প্রতিবাদী জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। থানার দিকে এগিয়ে আসতে থাকা উত্তেজিত জনতার দলকে মণিপুর পুলিস এবং ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স থানার ৫০০ মিটার আগেই থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এর জেরে সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে কারফিউ জারি হয়।   

প্রসঙ্গত, মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষ উস্কে দিয়েছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি এমনই অভিযোগ। এই জাতিগত সংঘর্ষে রক্তাক্ত মণিপুর। দুই মহিলাকে গণধর্ষণ ও তাদের নগ্ন হাঁটানোর ভিডিয়ো সামনে আসতেই তোলপাড় হয় দেশ। গত ৪ মে মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় এই ঘটনা ঘটে। ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি ওঠে। বিরোধীদের ক্রমাগত প্রশ্নের মুখে শেষপর্যন্ত মণিপুর ইস্যুতে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাও ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর। ওই দুই নির্যাতিতার মধ্যে একজন কার্গিল যোদ্ধার স্ত্রী বলেও জানা গেছে।

Advertisements

উল্লেখ্য, প্রায় ৪ মাস ধরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে জাতি হিংসার কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মেইতেইরা। এই মেইতেইরা মণিপুরের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী। মূলত ইম্ফল উপত্যকায় বাস মেইতেইদের। কুকি ও জো সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা থাকেন পাহাড়ি অঞ্চলে। মেইতেইদের সংরক্ষণের অধিকারের দাবির বিরোধিতা করেছে কুকিরা। এই নিয়ে গত ৩ মে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।