ভারতের সীমান্ত অনায়সে পার করা যায় ফের প্রমাণিত। সীমান্ত পেরিয়ে এসে ভারতের মাটিতে বড়সড় জঙ্গি হামলা হলে। বিজেপি শাসিত রাজ্য মণিপুর (Manipur Violence) ফের রক্তাক্ত। একাধিক নিহত। কারা মৃত স্পষ্ট নয়। তবে পিটিআই জানাচ্ছে, দুটি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কমপক্ষে ১৩ জন নিহত মণিপুরে। এই ঘটনা ভারত-মায়ানমার সীমান্তের খুব কাছে ঘটেছে। এই ঘটনার পর ফের সীমান্ত অরক্ষিত বিতর্ক প্রবল।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে দুটি জঙ্গি সংগঠনের একটি পিএলএ (PLA) সংগঠন। এই সংগঠনটি মণিপুরে একের পর এক নাশকতায় জড়িত। তাদেরই প্রতিদ্বন্দ্বী কোনও সংগঠনের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনার জেরে মণিপুর ফের সন্ত্রস্ত। অসম রাইফেলসের অভিযানে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজেপি শাসিত মণিপুর গত ৮ মাস ধরে জাতিগত সংঘর্ষে রক্তাক্ত। এ রাজ্যে কুকি ও মেইতেই জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক নিহত। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রাজ্য সরকার দাবি করেছিল। তবে সোমবারের পরিস্থিতিতে সরকারের দাবি নিয়েই প্রশ্ন। এর পাশাপাশি মণিপুরে নতুন করে জাতি সংঘর্ষ ছড়ানোর আশঙ্কায় ফের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। এই নির্দেশিকা আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
PTI জানাচ্ছে, সোমবার দুপুরে মণিপুরের টেংনোপাল জেলার লেইথু গ্রামে জঙ্গিদের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। পার্বত্য জেলার সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, মায়ানমার যাওয়ার পথে একদল জঙ্গি ওই এলাকায় প্রভাবশালী আরেকটি দলের উপর হামলা চালায়। টেংনুপাল জেলার সাথে মায়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া। নিহতরা বর্মী বলেও মনে করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর, মণিপুরের টেংনোপাল জেলায় ভারত সরকার এবং মেইতেই জঙ্গি গোষ্ঠী ইউএনএলএফ (পাম্বেই) এর মধ্যে ‘শান্তি চুক্তি’ হয়। তার পরেই জঙ্গি বনাম জঙ্গি লড়াইয়ে রক্তাক্ত ম়ণিপুর।