Manipur: বিজেপি শাসিত মণিপুরে টানা ৫ দিন কমান্ডো ব্যারাকে জঙ্গি হামলা, মোদী সরকার নীরব

হামলা শুরু হয়েছিল গতবছর। মাঝে বছর পাল্টে গেছে। তবে হামলা চলছেই। টানা পাঁচ দিন ধরে ভারতের সীমান্ত শহরে সশস্ত্র রক্ষীদের ব্যারাক ঘিরে প্রবল গুলির লড়াই…

হামলা শুরু হয়েছিল গতবছর। মাঝে বছর পাল্টে গেছে। তবে হামলা চলছেই। টানা পাঁচ দিন ধরে ভারতের সীমান্ত শহরে সশস্ত্র রক্ষীদের ব্যারাক ঘিরে প্রবল গুলির লড়াই চলছে। প্রাণপণে জঙ্গিদের রুখছেন পুলিশ কমান্ডো ও আধা সেনা জওয়ানরা। জখম একাধিক। এমনই পরিস্থিতি বিজেপি শাসিত রাজ্য মণিপুরের (Manipur) মোরে শহরে। অথচ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নীরব।

মোরে শহরটি মণিপুরের টেংনোপৌল জেলায়। এই শহরের অন্যপাশে মায়ানমারের টামু শহর। দুই শহরের মধ্যে ভারতীয় ও বর্মীদের যাতায়াত হয় রোজ। তবে গত পাঁচ দিন ধরে মোরে শহরে জঙ্গি হামলার জেরে দুই দেশের নাগরিকদের যাতায়াত বন্ধ। মোরে শহরবাসী তীব্র আতঙ্কিত। মোরে শহরে কুকি জঙ্গিদের সাথে লড়াই চলছে রাজ্য পুলিশ কমান্ডো ও অসম রাইফেলস জওয়ানদের। ব্যারাক থেকে হামলার জবাব দিচ্ছেন কমান্ডোরা। পরিস্থিতি তীব্র সংঘাতময়। মোদী সরকার নীরব।

মঙ্গলবারও মণিপুরের সীমান্ত শহর মোরেতে বন্দুকধারীরা পুলিশ কমান্ডোদের বহনকারী যানবাহনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। নিরাপত্তা বাহিনী যখন অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছিল তখন কমান্ডোদের উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। আহত কমান্ডোদের অসম রাইফেলস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে 4 জন সিডিও এবং একজন বিএসএফ জওয়ান।

মণিপুর থেকেই রাহুল গান্ধীর ভারত জুড়ে পদযাত্রা শুরু হবে। তার আগে এ রাজ্যে টানা জঙ্গি হামলায় তীব্র উত্তেজনা। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জরুরি বৈঠক করে রাজ্য জুড়ে সতর্কতা জারি করেছেন। টেংনোপৌল জেলায় টানা জঙ্গি হামলার পাশাপাশি থৌবল জেলায় সাধারণ মানুষকে 1 জানুয়ারি গুলি করে খুন করা হয়। চারজন নিহত। দশ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ। থৌবলে মুসলিম অধ্যুষিত লিলং চিংজাও এলাকার হাটে হামলা হয় সোমবার। পুলিশের পোশাক পরে এসেছিল হামলাকারীরা। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে নতুন করে হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি হবার আশঙ্কা।

গতবছর 3রা মে থেকে মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় এবং উপজাতীয় কুকিদের মধ্যে জাতিগত সংঘাতের কারণে শতাধিক নিহত হয়েছে। সরকারী পরিসংখ্যানে বলা হয় 60,000 ব্যক্তি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।