নয়াদিল্লি: ৪০০ কিলো আরডিএক্স (RDX), ৩৪ টি গাড়িতে ৩৪ জন মানববোমা! ভয়াবহ বিস্ফোরণে মারা যাবে প্রায় ১ কোটি মানুষ! বৃহস্পতিবার হোয়াটসঅ্যাপের হেল্পলাইন নম্বরে এই থ্রেট মেসেজ পাওয়ার পরেই সতর্ক হয়ে যায় মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। ১৪ জন পাকিস্তানি জঙ্গি ভারতে ঢুকে পড়েছে। তারা গণেশ পুজোর বিসর্জনে বিস্ফোরণ ঘটাবে বলে জানানো হয় ওই মেসেজে। এবার হোয়াটসঅ্যাপে ওই থ্রেট মেসেজ পাঠানো ব্যক্তিকে নয়ডা থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম অশ্বিনী। মেসেজ পেয়ে তদন্তে নেমে নয়ডা পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মী সিং-এর সাহায্য চায় মুম্বই পুলিশ। এরপরেই একটি দল গঠন করে নয়ডা থেকে অশ্বিনীকে খুঁজে বার করে পুলিশ। শুক্রবার মুম্বই পুলিশ বলে, বিস্ফোরণের পেছনে লস্কর-ই-জিহাদিদের হাত রয়েছে বলে মেসেজে উল্লেখ করা হয়। যদিও, পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ট্রাফিক পুলিশের কাছে মুম্বই বিস্ফোরণের একটি থ্রেট মেসেজ এসেছে। কিন্তু কেউ ঘাবড়াবেন না।
সন্দেহজনক জায়গাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।” থ্রেট মেসেজের ব্যাপারে সন্ত্রাস-দমন শাখাকেও সতর্ক থাকতে বলা হয় বলে জানা গিয়েছে। গতকাল পুলিশের তরফে জানানো হয়, মুম্বইয়ের অনন্ত চতুর্দশীর দিন পরিস্থিতি সামলাতে ১২ জন অতিরিক্ত কমিশনার, ৪০ জন ডেপুটি কমিশনার, ৬১ জন সহকারী কমিশনার সহ ৩ হাজার অফিসার এবং ১৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শহরজুড়ে।
পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে বিস্ফোরণের হুমকি মেসেজ (Threat Message) প্রায়শই আসে। তবে উৎসবের মরশুমে কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি মুম্বই পুলিশ। শুক্রবার মেসেজকারী অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫১ ধারা এবং ২,৩,৪ উপধারায় মামলা দায়ের করা হয়। বিসর্জনের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মুম্বই শহর জুড়ে ২১,০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার লক্ষাধিক সংখ্যায় মানুষ বিসর্জনে উপস্থিত হবেন।