মোদী সরকারকে ফেলতে বিরোধীদের নিয়ে রণকৌশল গড়তে দিল্লিতে মমতা

News Desk: আর কয়েকদিন পরেই শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Season)। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত…

Mamata Banerjee

News Desk: আর কয়েকদিন পরেই শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Season)। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত সফরসূচি জানা না গেলেও দলীয় সূত্রে খবর, ২২ থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যেই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলের কাছে মমতার এই দিল্লি (Delhi) সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলির রণকৌশল নির্ধারণে মমতা আলোচনায় বসবেন। কথা বলবেন প্রায় সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। একই সঙ্গে এই সফরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সামনে তুলে ধরবেন বিভিন্ন দাবিদাওয়া।

mamata banerjee

দিল্লির রাজনৈতিক মহলে এরই মধ্যে মমতার সফরকে ঘিরে এক তীব্র রাজনৈতিক কৌতুহল তৈরি হয়েছে। কারণ দিল্লির বাতাসে একটা গুজব ছড়িয়েছে এই যে, তরুণ বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi) তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। যদিও তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে তৃণমূল এবং গান্ধী পরিবারের এই সদস্য কেউই কোনও মন্তব্য করেননি।

উল্লেখ্য, ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এর আগে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন পেগাসাস ইস্যুতে কার্যত অচল হয়ে গিয়েছিল। বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ বিক্ষোভের জেরে সংসদে কোনও কাজই হয়নি। তাই শীতকালীন অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী পক্ষ উভয়ই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মোদী সরকার যেমন এই অধিবেশনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করাতে চাইছে তেমনি বিরোধীরা বুঝে নিতে চাইছে নিজেদের অধিকার।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন। কৃষি আইন বাতিলের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শীতকালীন অধিবেশনে সংসদ সম্পন্ন হওয়ার কথা। সে দিকেও নজর থাকছে। সাধারণত মমতা সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে বা চলাকালীন একবার হলেও দিল্লিতে আসেন। বর্ষাকালীন অধিবেশনেও মমতা দিল্লি এসে জানিয়েছিলেন, বিরোধীদের একজোট হয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেতে হবে। কে নেতা হবে সে বিষয়টি ভেবে লাভ নেই। তাঁর কোনও ইগো নেই। তাই তিনি শুধু লড়াই করতে চান, নেত্রী হতে চান না।

ওই সফরে মমতা এটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, ২০২৪ সালে মোদীকে যদি গদি থেকে সরাতে হয় তাহলে বিরোধীরা জোটবদ্ধ না হলে সেটা সম্ভব হবে না। মমতা বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বললেও দিল্লি থেকে ফিরে গিয়েই তিনি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তৃণমূলের এই অবস্থান দেখে অবশ্য বিরোধীরাই ধন্দে পড়েছেন। তারা অনেকেই মনে করছেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী ঐক্য কখনওই সম্ভব নয় কিন্তু তৃণমূল যদি এভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খোলে তাহলে কংগ্রেস বিরোধী জোটে আসবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।