মেরামত ও নির্মাণ কাজের কারণে দিল্লির (Delhi) কিছু বড় রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে টানা তৃতীয় দিন অর্থাৎ বুধবার জ্যামের (Delhi Expressway) কবলে পড়েছেন মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিপাকে পড়তে হয়েছে মানুষকে। অন্যদিকে, দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশ টুইটারে তথ্যটি শেয়ার করে লিখেছে যে পাঞ্জাবি বাগ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের কারণে রাজা গার্ডেন থেকে ব্রিটানিয়া চকের দিকে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। এই বিভাগে যাতায়াত করতে ১০-১৫ মিনিট বিলম্ব হয়। এই রুট এড়িয়ে চলুন দয়া করে.
চিরাগ দিল্লি ফ্লাইওভারটি ১২ মার্চ থেকে ৫০ দিনের জন্য বন্ধ ছিল, যখন রংপুরি এবং রাজোক্রির মধ্যে দিল্লি-জয়পুর জাতীয় মহাসড়কের (NH-48) একটি অংশ মার্চ থেকে ৯০ দিনের জন্য বন্ধ ছিল। NH-48 কে দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সংযুক্ত করার জন্য এই ৫০০মিটার প্রসারিত একটি এলিভেটেড করিডোর এবং দুটি আন্ডারপাস তৈরি করা হবে, যার কাজ ৯০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী তিন মাস এই মহাসড়কে গতি কম থাকবে। প্রতিদিন ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ দিল্লির এই হাইওয়ে ব্যবহার করেন। একই সময়ে, পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) মন্ত্রী আতিশি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন চিরাগ দিল্লি ফ্লাইওভারের মেরামত কাজ ৫০ দিনের পরিবর্তে এক মাসের মধ্যে শেষ করতে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকা গুরুগ্রামের বাসিন্দা বৃন্দা ভাটিয়া বলেন, আমি মধ্য দিল্লিতে কাজ করি। মঙ্গলবার অফিস থেকে ফেরার সময় দুই ঘণ্টা যানজটে আটকে পড়েন তিনি। মনে হচ্ছিল ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়েছে দিল্লি। সেই সঙ্গে দিল্লির জ্যামের প্রভাবও দেখা গিয়েছে টুইটারে। অনেক যাত্রী ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে টুইট করেছেন। গন্তব্যে পৌঁছতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের মুখে পড়তে হয়েছে মানুষকে।
জনসাধারণের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য বিভিন্ন স্থানে বোর্ড লাগানো হচ্ছে বলে ট্রাক্টরটি জানিয়েছে। ৩৫ জন মার্শাল মোতায়েন করা হয়েছে, যারা জনগণকে তথ্য দিচ্ছেন। সাহায্য করছেন. কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সার্ভিস রোড থেকে তৈরি ডাইভারশন মহাসড়কের প্রকৃত প্রস্থের চেয়ে বেশি, কম নয়। সেজন্য জ্যাম হতে দেওয়া হবে না।
ট্রাফিক পুলিশের জারি করা অ্যাডভাইজরিতে, জনগণকে এমজি রোড এবং পালাম রোড বেশি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও, NH-48-এ ট্র্যাফিক কমানো কঠিন, কারণ এই হাইওয়েটি গুরুগ্রাম এবং জয়পুরের সাথে সংযুক্ত। দিল্লী বিমানবন্দর। সেখান থেকে যাওয়া বা আসার জন্য এটি সবচেয়ে ব্যস্ত রুট। এটা তাদের জন্য লাইফলাইনের মতো।
