টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার মামলায় ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ (Mahua Moitra) মহুয়া মৈত্র। এই বিতর্কের মাঝেই একটি সাক্ষাৎকারে মহুয়া মৈত্র বলেন, তাঁর ব্যবসায়ী বন্ধু দর্শন হিরানন্দানিকে তিনি তাঁর সংসদীয় লগইন আইডি পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন, কিন্তু বিনিময়ে কোনও টাকা নেননি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এদিন মহুয়া মৈত্র বলেন, “কোনও সাংসদই নিজের প্রশ্ন টাইপ করেন না। আমি তাঁকে (দর্শন হিরানন্দনি) আমার সংসদীয় লগইন আইডি-পাসওয়ার্ড দিয়েছিলাম যাতে তাঁর অফিসের কেউ প্রশ্নগুলি টাইপ করতে পারে এবং সেগুলি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারে।
মহুয়া মৈত্র আরও বলছেন, সংসদের ওয়েবসাইটে কোনও প্রশ্ন আপলোড করতে হলে ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) প্রয়োজন। ওটিপি শুধুমাত্র আমার মোবাইল নম্বরে আসে। এমন পরিস্থিতিতে দর্শন বা অন্য কোনও ব্যক্তি আমার অজান্তে কোনও প্রশ্ন আপলোড করবেন এমন কোনও প্রশ্ন নেই।
তৃণমূল সাংসদ বলেন, টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে আমার বিরুদ্ধে, কিন্তু টাকা কোথায়? দর্শন তাঁর হলফনামায় বলেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বড় ভক্ত। তিনি আদানির বিষয়ে কিছু বলেননি। দ্বিতীয়ত, হিরানন্দানি হলফনামায় কোনও টাকার কথা উল্লেখ করেননি। মহুয়া বলেন যে, আদানিকে কেন্দ্র করে প্রশ্নগুলি সম্পর্কে দেহদারাই তাঁর হলফনামায় যে বিশ্লেষণ করেছেন তা হাস্যকর।
মহুয়া আরও জানান, তিনি হিরানন্দানির থেকে দুবাইয়ের লিপস্টিক, আইশ্যাডো, স্কার্ফের মতো মামুলি জিনিসই নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে সিবিআই-এর কাছে মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন’ করার মামলায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদরাই এবং বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এদিকে এই বিতর্ক নিয়ে হলফনামা দিয়েছেন শিল্পগোষ্ঠী হিরানন্দানির সিইও দর্শন হিরানন্দানি। তাতে আরও চাপে পড়েছেন মহুয়া মৈত্র।