সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। ক্যাশ-ফর-কোয়েরিতে লোকসভা সাংসদ হিসাবে বহিষ্কারকে চ্যালেঞ্জ করলেন (Mahua Moitra) তিনি। গত ৮ ডিসেম্বর ক্যাশ ফর কোয়েরি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) পদ খারিজ করা হয়। এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে।
Trinamool Congress leader Mahua Moitra moves Supreme Court against expulsion from Lok Sabha over 'cash-for-query' allegations
(file photo) pic.twitter.com/CVoL94Tz7l
— ANI (@ANI) December 11, 2023
মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ ঘিরে যাবতীয় বিতর্ক। সেই বিতর্কে এবার মহুয়ার বিদায় হয় সংসদ থেকে। নির্বাচনে ফের জিতে তাঁকে সংসদে আসতে হবে। এথিক্স কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, মহুয়া মৈত্র অবৈধ ভাবে টাকা নিয়েছেন তা সত্য। সাংসদ হিসাবে তাঁর আচরণ অনৈতিক। সেই কারণে লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কৃত করা উচিত। তিনি যে অপরাধ করেছেন সরকারের তরফে তার আইনি তদন্তও করা দরকার।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করা এবং ব্যবসায়ী বন্ধু দর্শন হিরানন্দানিকে সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সংসদের এথিক্স কমিটির রিপোর্টে সেই অভিযোগ প্রমাণ হয়। বরখাস্ত করা হয় সাংসদকে। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে লোকসভার এথিক্স কমিটির রিপোর্টে দাবি করা হয় সাংসদ যা করেছেন তা হলো কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কমিটির সুপারিশ সাংসদ মহুয়া মৈত্রর লোকসভার সদস্যপদ বাতিল করা হোক। সংসদ বহিষ্কার হন মহুয়া মৈত্র।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইতে থাকা ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি হলেন মহুয়া মৈত্রর বন্ধু। আর বন্ধু ব্যবসায়ীকে সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। এই বিষয়টির তদন্ত করছে সিবিআই। আর মহুয়া মৈত্রর অভিযোগ মোদী সরকারের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি।