মহারাষ্ট্রে হিন্দি ভাষাকে প্রথম শ্রেণি থেকেই বাধ্যতামূলক করার (Three Language Policy) নীতির বিরুদ্ধে সাড়া ফেলেছিল ব্যাপক প্রতিবাদ। রাজ্যের সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই সিদ্ধান্তের(Three Language Policy) বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। আর তার ফলস্বরূপ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এবং তার সরকার তিন ভাষা নীতির নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছেন। (Three Language Policy) রবিবার, মহারাষ্ট্র সরকারের ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ফলে, রাজ্যে মারাঠী, ইংরেজি, এবং হিন্দি—এই তিনটি ভাষা প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে বাধ্যতামূলক করা হবে না।(Three Language Policy)
ফড়ণবীস জানান, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, তিন ভাষা নীতি এবং তা কীভাবে কার্যকর করা উচিত, তা নিয়ে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই এই নীতি কার্যকর করা হবে। আপাতত, আমরা তিন ভাষা নীতি বাতিল করছি। আমাদের কাছে মারাঠীই সবসময় অগ্রগণ্য।”(Three Language Policy)
তিন ভাষা নীতি কি ছিল?(Three Language Policy)
গত এপ্রিলে মহাযুতি সরকার তিন ভাষা নীতির(Three Language Policy) নির্দেশিকা জারি করেছিল, যার ফলে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুলগুলিতে তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত ছিল জাতীয় শিক্ষা নীতির অংশ। এর মাধ্যমে সরকার একটি লক্ষ্য স্থির করেছিল, যাতে শিক্ষার্থীরা একদিকে মারাঠী এবং ইংরেজি ভাষা শিখে, অন্যদিকে একটি তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিও শিখতে পারে। তবে, এই নির্দেশিকাটি রাজ্য রাজনীতিতে এক বিশাল বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল।(Three Language Policy)
প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্য(Three Language Policy)
এই তিন ভাষা নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। শিবসেনা ইউবিটির উদ্ধব ঠাকরে, মহানির্বাণ সেনার রাজ ঠাকরে থেকে শুরু করে রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দল(Three Language Policy) এবং নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণে একে একে বিভিন্ন প্রতিবাদ শুরু হয়। বিশেষত, মারাঠী ভাষা রক্ষার জন্য আন্দোলনটি জোরালো হয়ে ওঠে। রাজ্যের রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল যে, হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করা হলে রাজ্যের নিজস্ব মারাঠী ভাষার গুরুত্ব ক্ষুন্ন হবে।(Three Language Policy)
এমনকি, মহারাষ্ট্রের দুই বড় রাজনৈতিক নেতা, যাঁরা প্রায়ই একে অপরের বিরোধী, তাঁরা একযোগে মারাঠী ভাষা রক্ষার আন্দোলনে নেমে পড়েন। এমন দৃশ্য এর আগে দেখা যায়নি। এর ফলে, সরকার চাপের মধ্যে পড়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়।(Three Language Policy)
মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীসের ইউ-টার্ন(Three Language Policy)
রাজ্য সরকারের এ উদ্যোগের পরেই বিরোধীরা সমালোচনার ঝড় তোলে। বিরোধী দলের নেতারা দাবি করেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজ্য সরকার হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করছে, যা মহারাষ্ট্রের ভাষাগত পরিচয় এবং ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন যে, সরকার যদি এই সিদ্ধান্ত না ফেরায়, (Three Language Policy) তবে রাজ্যে বিশাল আন্দোলন হতে পারে।
এর পরই, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস সরকারী ঘোষণা করেন যে, তারা হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করবে না। তিনি বলেন, “পড়ুয়ারা যদি চাইলে তৃতীয় ভাষা হিসেবে অন্য আঞ্চলিক ভাষা বেছে নিতে পারবে। তবে, সাধারণত অধিকাংশ স্কুলেই হিন্দি পড়ানো হবে। যদি কোনো ক্লাসে অন্তত ২০ জন পড়ুয়া হিন্দির বদলে অন্য ভাষা বাছাই করে, তাহলে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ বা অনলাইনে সেই ভাষা পড়াতে পারবে।”(Three Language Policy)
তবে, কী ভাষা পড়ানো হবে এবং কীভাবে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে, তা নিয়ে এখনও সঠিক কোনো স্পষ্টতা আসেনি। সরকার এই বিষয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি রেখেছে। কিছু এলাকায়, যেমন মারাঠী ভাষাভাষী অঞ্চলগুলোতে, এই সিদ্ধান্তের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।(Three Language Policy)
শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন পরিবর্তন(Three Language Policy)
মহারাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তটি মূলত শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বড় (Three Language Policy) পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল, তবে রাজ্যবাসীর চাপ এবং প্রতিবাদের পর সরকার তার পদক্ষেপ ফেরাল। আগামী দিনে, যখন নতুন কমিটি এই নীতির পর্যালোচনা করবে, তখন তা হয়তো আরও সঠিক এবং গ্রহণযোগ্যভাবে কাজ করতে পারে।(Three Language Policy)
এছাড়া, এক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রাজ্য সরকার কীভাবে মুলতবি সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে, শিক্ষার্থীদের জন্য এক ভালো এবং উপযোগী শিক্ষা পরিবেশ তৈরির দিকে নজর দিবে। বিশেষত, শিক্ষাব্যবস্থায় যদি জাতিগত বা ভাষাগত পরিচয়ের কারণে বিভেদ ঘটে, তবে তার পরিণতি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা গভীরভাবে ভাবনার বিষয়।(Three Language Policy)