মহারাষ্ট্র: উৎসবের আনন্দ মুহূর্তের মধ্যে পরিণত হল আতঙ্কে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বীড শহরে দিওয়ালির রাতে আতসবাজি বিস্ফোরণের ফলে এক ৬ বছরের শিশুর চোখের দৃষ্টি নষ্ট হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় নাগোবা গলির বাসিন্দা ওই শিশুটি বাড়ির সামনে পরিবারের সঙ্গে আতসবাজি পোড়াচ্ছিল। একসময় একটি বাজি জ্বলছিল না। সেটি পুনরায় জ্বালানোর চেষ্টা করতেই হঠাৎ বিকট শব্দে তা বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তের মধ্যে বাজিটির আগুন শিশুটির মুখে লাগে, এবং তার বাম চোখ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর শিশুটিকে দ্রুত বীডের সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, বিস্ফোরণের তাপে শিশুটির কর্নিয়া সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। চিকিৎসকের ভাষায়, “চোখের গঠন এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তার বাম চোখের দৃষ্টি ফেরানো সম্ভব নয়।”
চিকিৎসক আরও বলেন, “এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হল সচেতনতা। ছোট শিশুদের কখনও একা আতসবাজি জ্বালাতে দেওয়া উচিত নয়। উৎসবের আনন্দে যেন নিরাপত্তা অবহেলা না হয়, সেটাই সবচেয়ে বড় বার্তা।”
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় নেমে আসে আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “দিওয়ালির রাতে বহু শিশু একা একা আতসবাজি জ্বালায়। বড়দের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।” প্রশাসন ইতিমধ্যেই মানুষকে সতর্ক করার বার্তা দিচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, তবে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আতসবাজির ধোঁয়া, বিস্ফোরণের চাপ ও তাপমাত্রা—সব মিলিয়ে চোখের ক্ষতি মারাত্মক হতে পারে। অনেক সময় তা স্থায়ী অন্ধত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আতসবাজি ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা চশমা পরা, শিশুদের দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করা এবং ব্যবহারের পর সঙ্গে সঙ্গে জল রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।