Maha Politics: সরকার বদলাতে একনাথ শিন্ডের সঙ্গে কীসের চুক্তি?

গত সোমবার থেকে টলমল অবস্থা মহারাষ্ট্র সরকারের৷ উত্তর-পূর্বে বসে আরব সাগরের পাড়ে মায়ানগরীর ঘুম উড়িয়েছেন শিবসেনার ‘একনিষ্ঠ’ কর্মী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)৷ বারবার বালাসাহেব ঠাকরে…

Eknath Shinde

গত সোমবার থেকে টলমল অবস্থা মহারাষ্ট্র সরকারের৷ উত্তর-পূর্বে বসে আরব সাগরের পাড়ে মায়ানগরীর ঘুম উড়িয়েছেন শিবসেনার ‘একনিষ্ঠ’ কর্মী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)৷ বারবার বালাসাহেব ঠাকরে এবং ‘হিন্দুত্ব’ খোঁচা দিয়ে বড় শিবসেনা কর্মী জাহির করার চেষ্টা করছেন৷ তাঁর ওপর ভরসা রেখেছন ৪০ এর অধিক বিধায়ক৷ বৃহস্পতিবার রাতেও সেই সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারকে ফেলে দেওয়ার পিছনে শিন্ডের কী পরিকল্পনা রয়েছে? সেটাই খুঁজতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

সূত্রের খবর, সরকার গঠনের পরিবর্তে একনাথ শিন্ডেকে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সালে বিজেপিএ তরফে অজিত পাওয়ারকে যেমন উপমুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এবার একই প্রস্তাব পেয়েছেন শিন্ডে। সেইসঙ্গে বিক্ষুব্ধ শিবিরে অন্তত ৯ জনকে মন্ত্রীসভার সদস্য করার প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, ছেলে, শ্রীকান্ত শিন্ডের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ যদিও সেটা পরবর্তী ধাপে হওয়ার কথা।

যদিও এই গোটা বিষয়টিকে ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ পর্বে রেখেছে বিজেপি৷ তাঁদের বক্তব্য, এখনই সরকার গঠনের চেয়ে মহাবিকাশ আগাধি জোট ভাঙার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। এর ফলে দলের ইমেজ সঠিক থাকবে৷ তাই এখনই কর্ণাটক অথবা মধ্যপ্রদেশের মতো আস্থা ভোটে যেতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির।

সরকার টেকাতে আস্থা ভোটের ওপরেই আস্থা রাখছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার৷ বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, কী ভাবে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের প্রথমে গুজরাত এবং তার পর অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটা সবাই দেখেছে। দুটো রাজ্যই পরিচালনা করছে বিজেপির সরকার । কারা বিক্ষুব্ধদের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা সবাই বুঝতে পারছে। অসম সরকার কেন সাহায্য করছে? আমি বিশেষ কারও নাম করতে চাই না। কিন্তু আসল ব্যাপার হল বিধানসভায় আস্থাভোট। তখনই দেখা যাবে।

তবে এত সহজে হার মানতে নারাজ অপর পক্ষ। একনাথ শিন্ডে সহ ১২ জন বিক্ষুব্ধদের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে ডেপুটি স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে শিবসেনা৷ অন্যদিকে, পরিষদীয় দলনেতার পদে পুনরায় বিবেচনার জন্য ডেপুটি স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন একনাথ। একবার লাগাম হাতে এলেই সরকার বদলানো শিন্ডের কাছে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।