পুলিশকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তদন্তে অক্ষম বলে ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের

আদালতের নির্দেশের পরেও অভিযোগের তদন্ত করেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। এই অভিযোগ জানিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বেঞ্চ…

পুলিশকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তদন্তে অক্ষম বলে ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের

আদালতের নির্দেশের পরেও অভিযোগের তদন্ত করেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। এই অভিযোগ জানিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বেঞ্চ বলল, ৯০ শতাংশ পুলিশ অফিসারই দুর্নীতিগ্রস্থ। তদন্ত করার মত কোনও যোগ্যতা তাঁদের নেই।

জানা গিয়েছে, কয়েকবছর গড়িয়ে গেলেও একটি প্রতারণা মামলার কোনও তদন্ত হয়নি। যে কারণে ওই মহিলা নতুন করে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতির পি ভেলমরুগানের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তদন্তের জন্য যে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন সেটা পুলিশ বিভাগের ৯০ শতাংশের নেই। পুলিশ বিভাগের মাত্র ১০ শতাংশ অফিসার সৎ ও দক্ষ। কিন্তু তাঁদের পক্ষে তো সব ঘটনার তদন্ত করা সম্ভব নয়।

পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত না করার যে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে বিচারপতি বলেন, এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার যে খুব দক্ষ ছিলেন তা নয়। তিনি তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী তদন্ত করার চেষ্টা করেছেন। তাই এই বিষয়টিকে আদালত অবমাননা বলা যায় না। বিচারপতি আরও বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, পুলিশ বিভাগের ৯০ শতাংশ অফিসার দুর্নীতিগ্রস্ত। এমনকী, তদন্ত করার মত দক্ষতাও তাঁদের নেই। মাত্র ১০ শতাংশ দক্ষ ও সৎ অফিসার দিয়ে কখনই সব মামলার তদন্ত করা সম্ভব হয় না। বিচারপতি আরও বলেন এখনই দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসারদের খুঁজে বের করে তাদের বাদ দেওয়া উচিত। যাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।

Advertisements

উল্লেখ্য, যে মামলায় বিচারপতি ভেলুমুরুগান এই মন্তব্য করেছেন সেই মামলায় প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল ২০১১ সালে। কিন্তু ২০১৪ সালে পুলিশ মামলাটি বন্ধ করে দেয়। ঘটনার জেরে ২০২১ সালে সংশ্লিষ্ট মামলাকারী নতুন করে আদালতে অভিযোগ জানান। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। এদিনের শুনানিতে তদন্তকারী অফিসার উপস্থিত না থাকায় বিষয়টিকে আদালত অবমাননা বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।