Uttarkashi: উত্তরকাশীতে সব শ্রমিকদের উদ্ধারে পুরো রাত লাগতে পারে

উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেল থেকে কিছু শ্রমিক বেরিয়েছেন বলে জানাল দেশের অন্যতম হিন্দি সংবাদপত্র ‘জাগরণ’। তবে সিল্কিয়ারা টানেলের ভিতর আটকে থাকা বাকি শ্রমিকদের উদ্ধারে সারা রাত…

উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেল থেকে কিছু শ্রমিক বেরিয়েছেন বলে জানাল দেশের অন্যতম হিন্দি সংবাদপত্র ‘জাগরণ’। তবে সিল্কিয়ারা টানেলের ভিতর আটকে থাকা বাকি শ্রমিকদের উদ্ধারে সারা রাত লাগতে পারে। এমনই জানালেন NDMA সদস্য লে: জেনারেল (অব:) আতা হাসনা়ইন। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, আমার নিজস্ব ধারণা উদ্ধারকাজে সারা রাত লাগতে পারে। স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, কয়েকজনকে ধসের বাইরে আনা হয়। দৈনিক জাগরণ জানাচ্ছে তালিকায় ১৫ জন আছে। তাদের সাথে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।

NDMA সদস্য লে: জেনারেল (অব:) আতা হাসনা়ইন জানান যে প্রায় শেষের দিকে চলে এলেও এখনও শেষে পৌঁছানো যায়নি। ম্যানুয়াল ড্রিলিং চলছে এবং আমরা ৫৮ মিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পেড়েছি। ধ্বংসাবশেষগুলোকে কেটে ফেলা হয়েছে এবং সারা রাত ধরে কাজ চলেছে। আমাদের র্যাসট মাইনাররা, বিশ্বষজ্ঞ এবং সেনা ইঞ্জিনিয়ার ৫৮ মিটার পর্যন্ত পৌঁছোতে সক্ষম হয়েছে এবং অগার ম্যাশিনের সাহায্যে পাইপ ঠেলে দিতে সফল হয়েছে।

NDMA সদস্য আরও জানান যে আটকে পড়া শ্রমিকরা জানিয়েছে যে তারা খননের কাজ শুনতে পারছে। তিনি জানান যে আমরা ৫৮ মিটার অবধি পৌঁছেছি এবং আশা করছি আরও ২ মিটারের পর বলতে পারব যে আমরা ভেদ করে ঢুকতে পেরেছি। আটকে পড়া শ্রমিকরা আমাদের জানিয়েছেন যে তারা আমাদের খননের কাজ শুনতে পারছেন এবং বোঝা যাচ্ছে যে কতক্ষণে টানেলটিকে পুরোপুরি ভেদ করা যাবে।

জানা গিয়েছে টানেলের ভিতর একটি অস্থায়ী মেডিক্যাল ফ্যেসিলিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি ৪১ জন শ্রমিক উদ্ধারের একটি অংশ। শ্রমিকদের উদ্ধার করার পর সমস্ত রকমের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজখবর নেন।

প্রায় সব ম্যানুয়াল ড্রিলিং সম্পন্ন হয়েছে। ৪১ জন কর্মীকে যে কোন সময় বের করে আনা হতে পারে। টানেল গেটে অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দলগুলি সুড়ঙ্গের ভিতরে পৌঁছেছে। শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযানে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। উদ্ধারকারী দল কর্মীদের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। টানেল গেটে অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। সুড়ঙ্গের কাছে চিকিৎসকের দলও রয়েছে। এরই মধ্যে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের দল পৌঁছে গেছে সুড়ঙ্গের ভেতরে। টানেলের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের একটি কনভয় মোতায়েন করা হয়েছে। টানেলের বাইরে শ্রমিকদের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। দড়ি ও মই দিয়ে সুড়ঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা যে কোনো সময় টানেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ দিন ধরে উত্তরকাশীর টানেলে আটকে রয়েছেন বাংলার ৩ সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। বিগত কয়েকদিনে উদ্ধারকাজে গতি এসেছিল। তবে হিমালয়ের খামখেয়ালিপনার জেরে বারবারই থমকেছে ড্রিলিংয়ের কাজ। এর জেরে এখনও টানেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিককে।