Lok Sabha Election: লোকসভা ভোটের প্রার্থী, লড়েছেন বিধানসভা-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও, চেনেন এই পাওভাজি বিক্রেতাকে?

বয়স ৫৪। ইতিমধ্যেই লড়ে ফেলেছেন বেশ কয়েকটি নির্বাচনে। লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election) থেকে শুরু করে বিধানসভা ভোট, এমনকী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। বিহারের এই…

Kusheshwar-Bhagat

বয়স ৫৪। ইতিমধ্যেই লড়ে ফেলেছেন বেশ কয়েকটি নির্বাচনে। লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election) থেকে শুরু করে বিধানসভা ভোট, এমনকী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। বিহারের এই পাওভাজি বিক্রেতার কাহিনি শুনলে আপনি চমকে যাবেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও গুরুগ্রাম আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। এই নিয়ে চতুর্থবার লোকসভা ভোটের প্রার্থী হলেন তিনি।

বিহারের মধুবনির বাসিন্দা কুশেশ্বর ভগত এর আগে দু’বার বিধানসভা ভোট এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়েছেন। লোকসভা নির্বাচনেও লড়েছেন তিনবার। প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলির প্রবীণ নেতাদের পরাজিত করার লক্ষ্যেই এবার ময়দানে ভগত। গুরুগ্রামের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটানোর শপথ নিয়েই ভোটপ্রচার চালাচ্ছেন তিনি।

   

হরিয়ানার গুরুগ্রাম আসনে এবার ভোটে লড়ছেন ২৬ জন প্রার্থী। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন কুশেশ্বর ভগতও। গুরুগ্রামে ১৫ নম্বর সেক্টরে ৪০ বছর ধরে পাওভাজি বিক্রি করছেন তিনি। পাওভাজি বানানো শিখতে বিহার ছেড়েছিলেন কুশেশ্বর। পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। সেখান থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই চলে আসেন গুরুগ্রাম।

এরপর মুম্বইয়ের স্টাইলে পাওভাজি বানানো শুরু করেন গুরুগ্রামে। কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যবসা দাঁড়িয়ে যায়। স্টলও খুলে ফেলেন। বউ ছাড়াও তিন সন্তান রয়েছে তাঁর। ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করবেন, সেই লক্ষ্যেই নেমে পড়েন রাজনীতির ময়দানে। তারপর লড়তে শুরু করেন একের পর এক নির্বাচনে।

ভগত বলেন, গুরুগ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ পরিবর্তন চান। এই লোকসভা এমন একটি রাজ্যে যেখানে ৯টি কেন্দ্র রয়েছে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ৯০০ সমস্যা রয়েছে। কিন্তু সেই সমস্যা সমাধান করার জন্য কেউ নেই। জয়ের ব্যাপারেও বেশ আত্মবিশ্বাসী ৫৪ বছর বয়সী এই পাওভাজি বিক্রেতা।

তাঁর কথায়, আমি জিতবই। এখানকার নেতার প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছেন। ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও তিনি কিছুই করেননি। এখন মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। জনগণই চেয়েছিলেন আমি প্রার্থী হই। মানুষের দাবি মেনেই আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি। ১২ লক্ষ ভোটে আমি এবার জিতব।