LMS drone: পহেলগাম হামলার প্রতিশোধ ভারতের। পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করেছে। ভারতের হামলায় ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারত অনেক আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এদিকে, একটি আত্মঘাতী ড্রোন নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে, যার নাম ”LowCost Miniature Swarm Drone’ (LMS)।
এলএমএস ড্রোন কী?
ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশন সিঁদুর পরিচালনার জন্য এলএমএস ড্রোন ব্যবহার করে। এটি ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ বা ‘কামিকাজে ড্রোন’ নামেও পরিচিত। এলএমএস মানে হলো কম খরচের মিনিয়েচার সোয়ার্ম ড্রোন বা লোইটারিং মিউনিশন সিস্টেম। এটি একটি সশস্ত্র ড্রোন, এটি জঙ্গিদের আস্তানা, বাঙ্কার এবং অস্ত্রের ডিপো ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
এলএমএস ড্রোনকে কেন আত্মঘাতী ড্রোন বলা হয়?
এলএমএস ড্রোন প্রথমে তাদের লক্ষ্যবস্তু অনুসন্ধান করে এবং তারপর সেই লক্ষ্যবস্তুতে বিস্ফোরক দিয়ে নিজেদের ধ্বংস করে। এই কারণেই এটি ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ নামে পরিচিত।
ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণ করে
এই ড্রোনটিকে ঝাঁক বলা হয় কারণ এটি একটি দলে কাজ করে। শত্রু দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রেও সোয়ার্ম ড্রোনকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই ড্রোনগুলির এত ক্ষমতা রয়েছে যে তারা একাধিক কোণ লক করতে পারে এবং একই সাথে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
ক্ষেপণাস্ত্রের মতো কাজ করে, কিন্তু খরচ কম
এলএমএস ড্রোনটি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এবং নিউস্পেস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিসের মতো বেসরকারি সংস্থাগুলি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই ড্রোনটির ক্ষেপণাস্ত্রের মতো শক্তি আছে, তবে এর দাম ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে কম। উচ্চ রেজোলিউশন ক্যামেরা ছাড়াও, এই ড্রোনটিতে থার্মাল ইমেজিং এবং জিপিএস-ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেমও রয়েছে।