কুর্ণুল বাস-দুর্ঘটনায় নয়া মোড়! রহস্যে ঘেরা ‘তৃতীয় ড্রাইভারের’ সন্ধান শুরু

হায়দরাবাদ: গত শুক্রবার ভোরে কুর্ণুলে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী বেসরকারি বাস দুর্ঘটনার (Kurnool Bus Tragedy) তদন্তে নয়া মোড়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় বাস চালক এম লক্ষনীয়া ও কাভেরী ট্রাভেলসের ওই বাসের মালিক ভেমুরি বিনোদ কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাসটির দ্বিতীয় চালক শিব নারায়ণ দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের উদ্ধারের পাশাপাশি পুলিশের তদন্তেও সাহায্য করায় তাঁকে এখনও পর্যন্ত আটক করা হয়নি।

Advertisements

কিন্তু ঘটনায় আরও এক ড্রাইভারের জড়িত থাকার সন্দেহ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ওই একই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিল আরেকটি ওমনি বাস। সেই বাসটিই ঘটনার সাথে জড়িত বাইকটিকে রাস্তার মাঝখানে টেনে নিয়ে যায়। পরে যেখানে হায়দ্রাবাদ-বেঙ্গালুরু কাবেরী ট্রাভেলস (Kaveri Travels) বাসটি ধাক্কা মারে এবং আগে থেকেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকটিকে আরও ৩০০ মিটার টেনে নিয়ে যায় এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়।

   

কুর্ণুলের ডিআইজি কে প্রবীণ বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে রাস্তার মাঝখানে টেনে নিয়ে যায় এবং সেখানেই ফেলে চলে যায়। এরপর ওই রাস্তা দিয়ে ১৪ টি গাড়ি গিয়েছে। কাবেরী ট্রাভেলস বাসটি ১৫ তম যান ছিল যা বাইকটিকে ধাক্কা দেয় এবং ৩০০ মিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়, তারপর বাইকের জ্বালানি ট্যাঙ্কে আগুন ধরে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে।”

মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বাইক আরোহী

Advertisements

এর আগে ৪৪ নং জাতীয় সড়কের পাশের একটি পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভি ক্যামেরায় দুর্ঘটনার আগে বাইকটির ভিডিও ধরা পড়ে। যেখানে দেখা যায়, শিব শঙ্কর নামক ওই বাইক চালক ম্পদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং তাঁর পেছনের সিটে বসেছিলেন ইয়েরি স্বামী।

দুর্ঘটনায় (Kurnool Bus Tragedy) শিব শঙ্কর মারা গেলেও প্রাণে বেঁচে যান ইয়েরি স্বামী। তিনি শিব শঙ্করের মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। ডিআইজি (DIG) প্রবীণ বলেন, “অন্য একটি বাসের ড্যাশবোর্ড ফুটেজ পাওয়ার পর পুলিশ অন্য একজন চালকের জড়িত থাকার বিষয়টি আবিষ্কার করে।”

তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি যে অন্য একটি বাস বাইকটিকে রাস্তার মাঝখানে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কারণ ড্যাশবোর্ড ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে শিব শঙ্করের বাইকটি রাস্তার মাঝখানে নয়, ডিভাইডারের কাছে পড়েছিল।” যদি ওই ‘অন্য বাসের ড্রাইভার দুর্ঘটনার পর বাইকটিকে রাস্তার মাঝে ফেলে রেখে না পালিয়ে গিয়ে পুলিশে খবর দিত, বা বাইকটিকে পাশে সরিয়ে রাখত তাহলে ২০ টি মানুষের জীবন যেত না”। বর্তমানে ওই তৃতীয় ড্রাইভারের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন কুর্ণুলের ডিআইজি প্রবীণ।