Meteor missile: আজকের বিশ্বে, সমস্ত দেশই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিপজ্জনক অস্ত্র তৈরি করছে যা তাদের জাতির প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজ, আমরা একটি মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করব।
Meteor ক্ষেপণাস্ত্রটিকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি একটি আধুনিক বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। আসুন এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে আরও জেনে নেওয়া যাক।
মেটিওর ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি বিভিআর, আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি দূর থেকে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ড্রোন বা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এটি নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ২০০০ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয়েছিল। এটি ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা এমবিডিএ দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। এর প্রথম পরীক্ষা ২০০৫-২০০৬ সালে হয়। এর উন্নয়ন ছিল বেশ কয়েকটি দেশের সম্মিলিত ইউরোপীয় প্রকল্প।
এটি একটি র্যামজেট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা ক্রমাগত তার গতি ত্বরান্বিত করে, এর চূড়ান্ত গতি নিশ্চিত করে। এটি উৎক্ষেপণের পরেও তার লক্ষ্য পরিবর্তন করতে পারে। এটি ইলেকট্রনিক জ্যামের বিরুদ্ধেও চমৎকার প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি আনুমানিক ম্যাক ৪। এর অর্থ হল এটি শব্দের গতির চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি গতিতে ভ্রমণ করে। এর পাল্লা আনুমানিক ১২০-২০০ কিমি।
উৎক্ষেপণের পর, ক্ষেপণাস্ত্রের অভ্যন্তরীণ নেভিগেশন সিস্টেম (আইএনএস) এবং বুস্টার সিস্টেমগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এরপর লঞ্চার বিমানের মাধ্যমে একটি ডেটা লিঙ্কের মাধ্যমে মিশন ডেটা প্রেরণ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের সক্রিয় রাডার সিকারটি লক্ষ্যবস্তুতে লক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের র্যামজেট ইঞ্জিন লক্ষ্যবস্তু থেকে পালানো কঠিন করে তোলে। এর সক্রিয় অনুসন্ধানকারী এবং ডেটা লিঙ্ক এটিকে বিভিন্ন পরিবেশে কার্যকর করে তোলে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আজ আকাশসীমায় বিমান চলাচলের শ্রেষ্ঠত্ব বৃদ্ধি করে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
