ভারতের সব থেকে বড় গ্রাম যেখানে প্রতি দ্বিতীয় ঘরে জন্ম নেই সৈন্যদের সন্তান

Largest Village: ভারতের বৃহত্তম গ্রাম, যেখানে প্রতি দ্বিতীয় ঘরে একজন সৈনিক বাস করে। এই গ্রামের তিন-চার প্রজন্ম সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে। এই গ্রামে দেশপ্রেম কোনও স্লোগান নয়,…

Indian Army

Largest Village: ভারতের বৃহত্তম গ্রাম, যেখানে প্রতি দ্বিতীয় ঘরে একজন সৈনিক বাস করে। এই গ্রামের তিন-চার প্রজন্ম সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে। এই গ্রামে দেশপ্রেম কোনও স্লোগান নয়, বরং জীবনযাপনের একটি উপায়।

ভারত এমন একটি দেশ যেখানে দেশপ্রেম মানুষের হৃদয়ে বাস করে। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে এই অনুভূতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে। এমনই একটি গ্রাম উত্তর প্রদেশের গাজিপুর জেলায়, যার নাম গহমার (Gahmar)। এই গ্রামটিকে কেবল ভারতের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হয় না, বরং এখানকার প্রতিটি দ্বিতীয় বাড়িই একজন সৈনিক পরিবারের। এই গ্রামের বিশেষত্ব হলো এখানকার যুবকরা ছোটবেলা থেকেই দেশের সেবা করার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠে।

   

গহমার গ্রাম উত্তর প্রদেশের গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত, এই গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ১.২ লক্ষ, যা এটিকে ভারতের বৃহত্তম গ্রামগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। এখানকার পরিবেশ, মানুষের চিন্তাভাবনা এবং ঐতিহ্য এটিকে অন্যান্য গ্রাম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তোলে।

Gahmar

গহমারকে ‘সৈনিকদের গ্রাম’ও বলা হয়। এখানকার বেশিরভাগ পরিবারেরই কমপক্ষে একজন সদস্য ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বা বায়ুসেনাতে কর্মরত আছেন বা বর্তমানে কর্মরত আছেন। এখানে, সৈনিক হওয়া কেবল একটি চাকরি নয়, বরং একটি ঐতিহ্য এবং গর্বের বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয়।

Advertisements

যখনই সেনাবাহিনীতে নিয়োগ সমাবেশ হয়, তখন গহমারের যুবকরা প্রচুর সংখ্যায় অংশগ্রহণ করে। অনেক সময় গ্রামের শত শত ছেলে একসাথে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এই গ্রামটি এই ক্ষেত্রে সারা দেশে একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে। প্রশাসনও সবসময় গহমারকে বিশেষ নজরে দেখে।

গ্রামে এমন অনেক পরিবার আছে, যারা তিন-চার প্রজন্ম ধরে সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে। ছোটবেলা থেকেই শিশুরা তাদের দাদু-দিদা এবং বাবার কাছ থেকে সৈন্যদের গল্প শোনে এবং সেখান থেকেই তাদের হৃদয়ে দেশপ্রেমের বীজ বপন করা হয়। এখানে সৈন্যদের বীর হিসেবে দেখা হয় এবং তরুণরা তাদেরকে তাদের আদর্শ হিসেবে মনে করে।

গহমারের মহিলারাও পিছিয়ে নেই। তারা কেবল তাদের সন্তানদের দেশপ্রেমের চেতনা শেখায় না, বরং অনেক মহিলা নিজেও সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য প্রস্তুতি নেন। এছাড়াও, গ্রামে নারীশক্তির অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়, যারা সামাজিক কাজেও উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করে।

যদিও গহমারের সবচেয়ে বড় পরিচয় সেনাবাহিনী, তবে এখানকার মানুষ শিক্ষা, খেলাধুলো এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও এগিয়ে। গ্রামে অনেক স্কুল এবং কোচিং সেন্টার আছে, যেখানে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, গ্রামে যুবকদের জন্য খেলার মাঠ এবং লাইব্রেরিও রয়েছে।