আকাশেই ধ্বংস হবে শত্রুর ব্যালিস্টিক মিসাইল, AD-1-এ কী বিশেষত্ব রয়েছে

DRDO: ভারত তার দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও একটি বড় সাফল্যের সাথে উন্নত করেছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) সম্প্রতি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা (BMD)…

AD-1 missile

DRDO: ভারত তার দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও একটি বড় সাফল্যের সাথে উন্নত করেছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) সম্প্রতি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা (BMD) পর্যায়-II এর অধীনে তৈরি দূরপাল্লার ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র AD-1 সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। ওড়িশার চাঁদিপুরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (ITR)-এর লঞ্চ কমপ্লেক্স-III থেকে ২৪ জুলাই, ২০২৪ তারিখে এই পরীক্ষাটি পরিচালিত হয়।

AD-1 ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রটি কার্যকরভাবে ৩০০০ থেকে ৫০০০ কিলোমিটার পাল্লার শত্রুপক্ষের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে এবং ধ্বংস করতে পারে, এমনকি তাদের টার্মিনাল পর্যায়েও। এর মানে হল, যদি কোনও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের দিকে এগিয়ে আসে, তাহলে এই ইন্টারসেপ্টরটি মাটিতে আঘাত হানার আগেই বায়ুমণ্ডলের মধ্যেই এটি ধ্বংস করতে পারে।

   

AD-1 ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব কী?
AD-1 ভারতের বহু-স্তরযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অধীনে তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উচ্চ গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম এবং অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে তা ধ্বংস করতে পারে। বিশেষ বিষয় হল এটি উচ্চ উচ্চতায়ও কার্যকরভাবে কাজ করে, যার কারণে এটি বায়ুমণ্ডলের ভিতরে এবং বাইরে উভয় স্থানেই বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দিতে পারে। কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যবস্থা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ৩০০০ থেকে ৫০০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাধারণত পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম।

AD-1 পারমাণবিক হুমকির জবাব দিতে সক্ষম

Advertisements

এমন পরিস্থিতিতে, AD-1 এর মতো একটি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র থাকা নিশ্চিত করে যে ভারত যেকোনো পারমাণবিক হুমকির কার্যকরভাবে জবাব দিতে সক্ষম। ডিআরডিওর এই পরীক্ষা ভারতকে সেই নির্বাচিত দেশগুলির তালিকায় স্থান দিয়েছে যাদের এত দীর্ঘ পাল্লার শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করার প্রযুক্তিগত ক্ষমতা রয়েছে। এটি ভারতের কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন শক্তি দিয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

এই সাফল্যের মাধ্যমে, ভারত প্রমাণ করেছে যে তারা স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ক্রমাগত অগ্রগতি করছে এবং ভবিষ্যতের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত।