What is BrahMos-MA: 1206Kg ওজন, 290km রেঞ্জ, বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেবে নতুন ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র

BrahMos-MA Supersonic Missile : ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে ভারতের এমনই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ রয়েছে, যা গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিতে পারে। এই সুপারসনিক মিসাইলটি যৌথভাবে তৈরি করেছে ভারত ও…

BrahMos-MA supersonic missile

BrahMos-MA Supersonic Missile : ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে ভারতের এমনই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ রয়েছে, যা গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিতে পারে। এই সুপারসনিক মিসাইলটি যৌথভাবে তৈরি করেছে ভারত ও রাশিয়া। এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগ আগামী দু বছরের মধ্যে তার নতুন বায়ুচালিত সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ‘ BrahMos-MA’ পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা করছে। ‘ BrahMos-MA’ মিসাইল কী? এতে ভারতের সামরিক শক্তি কতটা বাড়বে? বিস্তারিত জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।

What is BrahMos

   

প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ব্রহ্মোস ভারতের একটি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি তৈরি করেছে ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস, যা রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগ। রাশিয়ান কোম্পানি এনপিও ম্যাশিনোস্ট্রোনিয়া এবং ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনী ব্যবহার করে।

BrahMos-NG এবার হয়ে যাবে BrahMos-MA

ইউরেশিয়ান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রহ্মোস-এমএ নিয়ে কাজ এখনও শুরু হয়নি। এর আগে ব্রহ্মোস-এনজি নামে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল। এই উন্নয়ন বহু বছর ধরে চলছে। সম্প্রতি, BrahMos JV-এর সহ-পরিচালক আলেকজান্ডার মাকসিচেভ BrahMos-MA তৈরির ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন আমরা ক্ষেপণাস্ত্রের বায়ুচালিত সংস্করণ নিয়ে কাজ করছি। এই কাজের নকশা ডকুমেন্টেশন বিকাশের পর্যায়ে আছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দু বছরের মধ্যে আমরা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করব।

BrahMos-MA Features

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রহ্মোস-এনজি বা ব্রহ্মোস-এমএ বর্তমান ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ছোট সংস্করণ হবে। নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ 290 কিলোমিটার অনুমান করা হয়েছে। এটি ব্রহ্মোসের সাম্প্রতিক সংস্করণের চেয়ে কমপক্ষে 3 মিটার খাটো এবং 50 শতাংশ হালকা হবে। এর ওজন হবে 1206 কেজি, যেখানে বর্তমানে উপলব্ধ ব্রহ্মোস মিসাইলের ওজন প্রায় 2500 কেজি।

তেজস বিমানে ফিট হবে! শত্রুর উপর দুর্যোগ বর্ষণ করবে: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মোস কোম্পানির সিইও অতুল দিনকার রানে গত বছর ঘোষণা করেছিলেন যে এলসিএ তেজস বিমানে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা হবে। তবে উন্নয়নের সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথমে রাশিয়ার তৈরি বিমানে লাগানো হবে। পরে এটি ভারতে তৈরি হালকা যুদ্ধ বিমানে স্থাপন করা হবে। এলসিএ তেজস ছাড়াও সুখোই বিমানেও এই মিসাইল বসানো যাবে।

ব্রহ্মোস-এমএ-এর কম ওজনের ফলে এটিকে সমুদ্রের নিচ থেকে ছোঁড়াতেও সক্ষম করে তুলবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে 2026 সাল নাগাদ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা শুরু হতে পারে।