অতিথি হিসেবে আছে KLO প্রধান জীবন সিংহ, জানালেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

জঙ্গি নেতা জীবন সিংহকে (Jibon Singh) কি পৃথক উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিশেষ পদ দেওয়া হবে? এই প্রশ্নে তিস্তা-তোর্ষা তীরের রাজনৈতিক হাওয়া গরম। বিজেপির একাধিক নেতা…

jibon singh 1 অতিথি হিসেবে আছে KLO প্রধান জীবন সিংহ, জানালেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

জঙ্গি নেতা জীবন সিংহকে (Jibon Singh) কি পৃথক উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিশেষ পদ দেওয়া হবে? এই প্রশ্নে তিস্তা-তোর্ষা তীরের রাজনৈতিক হাওয়া গরম। বিজেপির একাধিক নেতা রাজ্য ভাগের দাবি করছেন। জীবন সিংহের বিষয়ে নীরব মমতা। বাম জমানায় জলপাইগুড়িতে সিপিআইএম কর্মীদের গণহত্যায় জড়িত KLO জঙ্গি নেতা জীবন সিংহ ওরফে তামির দাস।

বিস্তারিত পড়ুন
অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, কেএলও প্রধান জীবন সিংহ অতিথি হিসেবে আছেন। কেন্দ্রের সাথে এই সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শান্তি বৈঠকেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তবে হিমন্ত জানাননি কোথায় রাখা হয়েছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রধান ও জঙ্গি নেতা জীবন সিংহকে।

   

Himanta Biswa Sarma

অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবির পরই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন। কারণ, কেএলও প্রধান ভারত সরকারের নজরে একজন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা। তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার অভিযোগ আছে। পৃথক কামতাপুর স্বশািত এলাকার দাবিতে দশকের পর দশক সশস্ত্র সংগঠন কেএলওর প্রধান হিসেবে জীবন সিংহ বারবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে হুমকি দিয়েছে। গত বিধানসভায় ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই জীবন সিংহ সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে ভিডিও বার্তায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব বলে হুমকি দিয়েছিল।

jiban sing

মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা জীবন সিংহ সম্প্রতি মায়ানমারের গোপন আস্তানা থেকে নাগাল্যান্ডে এসে অসম রাইফেলসের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তার ঘনিষ্ঠ কেএলও সদস্য জীবন সিংহর ভিডিও দেখিয়ে এমনই দাবি করে। তবে জীবন সিংহকে ঠিক কেথায় রাখা হয়েছে তা সরকার স্পষ্ট করেনি। এদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, জীবন সিংহ সরকারের অতিথি। তাঁর দাবির পরই বিশ্লেষণে উঠে আসছে, জঙ্গি নেতা এখন সরকারের জিম্মায় এটা স্পষ্ট।

অসমের গোয়ালপাড়া, কোকরাঝাড় ও পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নিয়ে পৃথক কামতাপুর স্বশাসিত রাজ্য গঠনের দাবি করে আসছে জীবন সিংহ। এই দাবির ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গে বিগত বাম জমানায় জীবন সিংহের নির্দেশে হয়েছিল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে গণহত্যা। তাতে ৫ সিপিআইএম নেতাকে খুন করে কেএলও। এছাড়াও একাধিক নাশকতায় জড়িত কেএলও।

KLO সশস্ত্র সংগঠনটির ঘাঁটি ছিল ভুটানে। সে দেশের সরকার অপারেশন অল ক্লিয়ার চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। ২০০৩ সাল থেকে জীবন সিংহের মৃত্যুর বিষয়ে বারবার খবর এসেছিল। এবার সরাসরি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবিতে সরকারিভাবে স্পষ্ট জীবন সিংহ এখন ভারতেই সরকারি অতিথি।