বিপুল খরচের বিদ্যুৎ স্মার্ট মিটার নয়, গ্রাহকদের স্বস্তি দিল কেরলের বাম সরকার

স্মার্ট মিটার লাগানোকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। বিদ্যুৎকর্মীদের ঘেরাও করে দেখানো হচ্ছে বিক্ষোভ। চলছে প্রতিবাদ মিছিল। এই মিটার চালু হলে আগামী দিনে প্রিপেড…

স্মার্ট মিটার লাগানোকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। বিদ্যুৎকর্মীদের ঘেরাও করে দেখানো হচ্ছে বিক্ষোভ। চলছে প্রতিবাদ মিছিল। এই মিটার চালু হলে আগামী দিনে প্রিপেড মিটারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আগে থেকে রিচার্জ করতে হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। ফলে গ্রাহকদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।

প্রিপেইড মিটার চালু হলে মোবাইল ফোনের মত আগে রিচার্জ করতে হবে।সেই টাকা কবে বা কী ভাবে শেষ হবে, তা গ্রাহক জানতে পারবেন না। তিনি কোনও মিটার রিডিং দেখতে পাবেন না।যদি রাত বারোটার পর টাকা শেষ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তার জন্য আগাম কোন নোটিশ বা বাড়ি গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না। অর্থাৎ রিচার্জ শেষ হলেই বিচ্ছিন্ন হবে বিদ্যুৎ সংযোগ।অন্যদিকে এর ফলে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের কাজ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।ইতিমধ্যেই কেরল সরকার কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা আরোপিত TOTEX মডেল প্রিপেইড স্মার্ট মিটারিং প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কুখ্যাত এই TOTEX মডেল প্রিপেইড স্মার্ট মিটারিং উদ্যোগ, রিভ্যাম্পড ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর স্কিম (RDSS) এর কাঠামোর অধীনে পরিচালিত, আদানি এবং TATA এর মতো বেসরকারী কর্পোরেশনগুলির জন্য মুনাফার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই মডেলটি পাবলিক ইলেক্ট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টরের বেসরকারীকরণের পথ প্রশস্ত করবে এবং তাদের বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে জনগণের উপর একটি বিশাল আর্থিক বোঝা চাপবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিপরীতে, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কেরালা সরকার বিকল্প পন্থা নিয়েছে।কেরালার সরকার সমগ্র দেশে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে কর্পোরেটপন্থী মডেলের বিরোধিতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে।কিন্তু মমতা সরকার কী সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেরল সরকারের পথে হাঁটবে ? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।