Kaveri Engine With Tejas Fighter Jet: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নতুন নতুন অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। যুদ্ধবিমানের জন্য নিজস্ব দেশীয় ইঞ্জিন তৈরি করা ভারতের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এখন এই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শীঘ্রই কাবেরী ইঞ্জিন প্রোগ্রামের জন্য নতুন তহবিল অনুমোদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে কাবেরী ইঞ্জিনের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
এই জেটে কাবেরী ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হবে
ভারতের শক্তিশালী যুদ্ধবিমান তেজস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (তেজস এলসিএ) তে কাবেরী ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হবে। GTRE তেজস LCA-এর একটি পুরনো লিমিটেড সিরিজ প্রোডাকশন (LSP) মডেলে একটি নতুন আফটারবার্নারের সাথে শুকনো কাবেরী ইঞ্জিন সংহত করার পরিকল্পনা করছে।
ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস একটি নতুন আফটারবার্নার ডিজাইন করবে
ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল তৈরির জন্য পরিচিত। এখন কাবেরী ইঞ্জিনের জন্য একটি নতুন আফটারবার্নার ডিজাইনের দায়িত্বও ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসকে দেওয়া হয়েছে। এই আফটারবার্নারটি ২৯ কেএন বেশি থ্রাস্ট উৎপন্ন করবে, যার ফলে ড্রাই কাবেরী ইঞ্জিনের মোট থ্রাস্ট ৮০ কেএন-এ পৌঁছে যাবে। ড্রাই কাবেরী ইঞ্জিন আফটারবার্নার ছাড়াই ৪৯-৫০ কেএন থ্রাস্ট উৎপন্ন করবে।
অর্থায়ন পথ পরিষ্কার করে
নতুন আফটারবার্নার এটিকে তেজাসের মতো মানব-নিয়ন্ত্রিত যুদ্ধবিমানের জন্য উপযোগী করে তোলে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কর্তৃক তহবিল অনুমোদনের পর ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস কর্তৃক দেশীয় আফটারবার্নার তৈরির কাজ গতি পাবে। এটি তেজস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টে ইঞ্জিন সংহত করার পথ প্রশস্ত করবে।
কাবেরী ইঞ্জিন আর কোথায় ব্যবহার করা যেতে পারে?
কাবেরী ইঞ্জিন কেবল সামরিক বিমানেই নয়, সামুদ্রিক গ্যাস টারবাইন এবং অসামরিক বিমান চলাচলেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (BHEL) এর সহযোগিতায় সামুদ্রিক এবং শিল্প গ্যাস টারবাইন তৈরি করা হচ্ছে।