বিহারের কাটিহার (Katihar) রেলস্টেশনে (station) সোমবার একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যেখানে ট্রেনের ধাক্কায় কর্তব্যরত রেলকর্মী (railway employee) ভিপিন সিং (৩৫) মারা (death) যান। এই ঘটনা তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে এবং রেলওয়ে পুলিশ আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে অনুসন্ধান করছে।
ভিপিন সিং কাটিহারের বাসিন্দা ছিলেন এবং ঘটনার সময় তিনি এসএসই (সিনিয়র স্টেশন ইন্সপেক্টর) হিসেবে ডিউটিতে ছিলেন। জানা গেছে, কাটিহারের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে যোগবাণী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। কীভাবে এবং কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিছু মানুষের মতে, এটি আত্মহত্যা হতে পারে, আবার অনেকে মনে করছেন এটি একটি দুর্ঘটনা। রেলওয়ে পুলিশ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনার তদন্ত করছেন এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, ভিপিন সিংয়ের হাতে একটি ওয়াকি টকি ছিল, যা তার ডিউটি কর্মের অংশ ছিল। তিনি যখন ঘটনাস্থলে ছিলেন, তখন কি তার কোনো অস্বাভাবিক আচরণ ছিল, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, তিনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন এবং পরিবারের সদস্যদের দাবি, এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুই হতে পারে।
তদন্তকারীরা বর্তমানে তার মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কাটিহারের সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাটি খুব গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তারা সকল তথ্যের যাচাই-বাছাই করছেন। এদিকে, কাটিহার স্টেশন এলাকায় এই ঘটনা নিয়ে নানা জল্পনা এবং আলোচনা চলছে। লোকজনও প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যখন রেল কর্মচারী তার ডিউটি কর্মে ছিল।
এটি অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় রেল দুর্ঘটনা, কারণ কয়েকদিন আগে বিহারের বারাউনি স্টেশনে আরেকটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে লখনউ-বরাউনি এক্সপ্রেসের শান্টিংয়ের কাজ করতে গিয়ে এক রেলকর্মী ইঞ্জিন ও কোচের মধ্যে পিষ্ট হয়ে মারা যান। এই ঘটনার পর সারা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে রেলওয়ে কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
কাটিহার স্টেশনে নিহত ভিপিন সিংয়ের ঘটনা থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে, যেমন, রেলওয়ে কর্মীদের নিরাপত্তা এবং ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ঝুঁকি রয়েছে তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা।