পরিচয় লুকিয়ে গরবা প্যান্ডেলে ঢুকে পেটানি খেল কাশ্মীরি যুবক

সাগর ২৯ সেপ্টেম্বর: মধ্যপ্রদেশে চলছিল গরবা উৎসব (Communal Conflict)। স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই মেতে উঠেছিলেন নাচে গানে। হঠাৎই মণ্ডপের ভিতরে চাঞ্চল্য। জানা গেল এক কাশ্মীরি যুবক…

Communal Conflict

সাগর ২৯ সেপ্টেম্বর: মধ্যপ্রদেশে চলছিল গরবা উৎসব (Communal Conflict)। স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই মেতে উঠেছিলেন নাচে গানে। হঠাৎই মণ্ডপের ভিতরে চাঞ্চল্য। জানা গেল এক কাশ্মীরি যুবক (Kashmiri youth)নাম ভাড়িয়ে ঢুকে পড়েছে প্যান্ডেলে। কাশ্মীরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আফতাব হুসেন নামক এক যুবক ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে যুগান্তক গরবা প্যান্ডেলে প্রবেশ করে এবং সন্দেহজনক আচরণের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে তৎক্ষণাৎ পিটিতে প্যান্ডেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তার সংঙ্গে ছিল এক বিহারি যুবক সে পালিয়ে যায়।

Advertisements

রাতে সাগর শহরের যুগান্তক গরবা প্যান্ডেলে নবরাত্রির তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান চলছিল। হাজার হাজার ভক্ত গরবা নৃত্যে মগ্ন হয়ে মাতা দুর্গার পূজা করছিলেন। এমন সময় আফতাব হুসেন এবং তার সঙ্গীরা ধর্মীয় পরিচয় লুকিয়ে প্যান্ডেলে প্রবেশ করে। জানা গিয়েছে এক হিন্দু মেয়ে তাদের জন্য পাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। জানা গিয়েছে একটি কোচিং সেন্টারে ওই হিন্দু কিশোরীর সাথে তার ঘনিষ্টতা হয় এবং এই কিশোরী তাকে এই প্যান্ডেলে আসতে বলেছিল

   

তারা হিন্দু নাম ধারণ করে এবং সাধারণ পোশাকে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। কিন্তু আফতাবের সন্দেহজনক আচরণ যেমন মেয়েদের দিকে অতিরিক্ত তাকানো এবং অস্বাভাবিক চলাফেরা সতর্ক দর্শকদের নজরে পড়ে। প্যান্ডেলের স্বেচ্ছাসেবকরা এবং স্থানীয় যুবকরা তাকে ঘিরে ফেলেন এবং পরিচয় যাচাই করেন। আফতাবের পকেট থেকে মিলে যাওয়া মোবাইল ফোন এবং তার কথাবার্তা থেকে তার মুসলিম পরিচয় প্রকাশ পায়।

কাশ্মীরের স্থায়ী ঠিকানা পাওয়া যায় এবং তার সঙ্গী বিহারের যুবক বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে উত্তেজিত জনতা আফতাবকে মারধর করতে থাকে এবং তাকে প্যান্ডেল থেকে বের করে দেয়। তার সঙ্গী সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় এবং এখনও ধরা পড়েনি। স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আফতাবকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং পালানো যুবককে খুঁজছে।

মেডিক্যাল লোনে লো-কস্ট ইএমআই: কারা দিচ্ছে এই সুবিধা?

এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের গরবা অনুষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে, গরবা প্যান্ডেলগুলোতে প্রবেশের জন্য আধার কার্ড, তিলক এবং কড়া পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভোপাল, ইন্দোর এবং উজ্জেইনের মতো শহরগুলোতে বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্বেচ্ছাসেবকরা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন। সাম্প্রতিককালে ইন্দোরে একটি অনুরূপ ঘটনায় ‘রাজা অমিত’ নাম ধারণ করে এক যুবককে ধরা পড়ে, যাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উজ্জেইনে দুই মুসলিম যুবককে মিথ্যা পরিচয়ে প্রবেশের চেষ্টায় আটক করা হয়েছে।