‘কর্তব্য পথে’ ভারতের ঐতিহ্য এবং উন্নয়নের ছবি

রবিবার ভারত ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস(Republic Day)উদযাপন করেছে। প্রত্যেকবারের মত এবারও প্রজাতন্ত্র দিবসের আয়োজন অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে হয়েছে। যেখানে ভারতীয় রাজপথ ‘কর্তব্য পথ’ এ বিভিন্ন রাজ্য…

রবিবার ভারত ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস(Republic Day)উদযাপন করেছে। প্রত্যেকবারের মত এবারও প্রজাতন্ত্র দিবসের আয়োজন অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে হয়েছে। যেখানে ভারতীয় রাজপথ ‘কর্তব্য পথ’ এ বিভিন্ন রাজ্য এবং সরকারী প্রকল্পের রঙিন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের থিম ছিল “স্বর্ণিম ভারত: ঐতিহ্য এবং উন্নয়ন”।

তবে এবছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের সঙ্গে ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের সাধারণ কিছু মিল লক্ষ্য করা গেছে। উভয় ক্ষেত্রেই ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৫০ সালে ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি সুকার্নো প্রধান অতিথি ছিলেন আর এবারও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোয়ো সুবিয়ান্তো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

   

ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইরউইন অ্যাম্পিথিয়েটারে (বর্তমানে ন্যাশনাল স্টেডিয়াম)। এটি তৈরি হয়েছিল ১৯৩৩ সালে। এবং পরে ১৯৫১ সালে এর নামকরণ করা হয় ‘ন্যাশনাল স্টেডিয়াম’।

১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত সরকার এক ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে ভারতকে সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এবং এই উপলক্ষে ৩১ টি তোপধ্বনি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের প্রজাতন্ত্রের সূচনা হয়েছিল।

‘ফৌজি আখবর’ (বর্তমানে সৈনিক সমাচার), তার প্রকাশিত ‘প্রজাতন্ত্রের জন্ম’ শীর্ষক প্রবন্ধে প্রকাশ করেছিল, “একটি অত্যন্ত গম্ভীর অনুষ্ঠানে, ঠিক ২৬ শে জানুয়ারি, ১৯৫০ সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে ভারতকে সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মাত্র ছয় মিনিট পরে ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।”

এই ঐতিহাসিক প্যারেডটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইরউইন অ্যাম্পিথিয়েটারে হাজার হাজার দর্শকের সামনে। এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৫,০০০ জন লোক। যারা ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণে এক মহামানবিক সামরিক প্যারেড উপভোগ করেন।

এই দিনটি ভারতীয় ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করে। যেখানে একত্রিত হয়ে ভারত তার একক সংবিধান এবং ইউনিয়নের আওতায় ৩২০ মিলিয়ন মানুষের কল্যাণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল।

রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ তার ঐতিহাসিক ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন, “আজ, আমাদের দীর্ঘ এবং বৈচিত্র্যময় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই বিশাল ভূখণ্ড, যা কাশ্মীর থেকে কেপ কমরিন, কাথিয়াওয়াড় থেকে কোকোনাডা এবং কামরূপ পর্যন্ত বিস্তৃত, একক সংবিধান ও ইউনিয়নের অধীনে আনা হয়েছে। যা ৩২০ মিলিয়ন মানুষের কল্যাণের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।”