সুপ্রিম ধাক্কা বিজেপি শাসিত তিন রাজ্যের! কানোয়ার যাত্রায় ‘নাম’ নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ

কানোয়ার যাত্রা পথে অবস্থিত সব দোকানে মালিকের নাম উল্লেখ করতে হবে। এই নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকার। যাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়।…

Kanwar Yatra nameplate diktat paused by Supreme Court in interim order, Kanwar Yatra nameplate diktat paused by Supreme Court in interim order

কানোয়ার যাত্রা পথে অবস্থিত সব দোকানে মালিকের নাম উল্লেখ করতে হবে। এই নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকার। যাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। নাম লেখার নির্দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি রয়েছে বলে প্রতিবাদ জানায় বিরোধী দলগুলো। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শেষমেষ, বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য সরকারের ‘নাম নির্দেশিকা’র উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত।

বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং মধ্যপ্রদেশ সরকারকে নোটিস জারি করেছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিল অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রটেকশন অফ সিভিল রাইটস নামক একটি এনজিও। সেই আবেদনের শুনানিতেই এই নোটিস জারি করেছে।

   

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে যে, কানোয়ার যাত্রা পথে অবস্থিত খাবার দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের নাম জানানো বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে নাম জানাতে বলে পুলিশ যেন বাড়াবাড়ি না করে।

বাতিল এই ট্রেনের টিকিটের পুরো টাকা ফেরত পাবেন যাত্রীরা! এইসব শর্ত মানলেই কেল্লাফতে

সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক সিংভি জানান, কেউ কোনও রেস্তোরাঁয় যায় কাবারের মান বিচার করে। কোন ধর্মের লোক রান্না বা পরিবেশন করছে তার উপর ভিত্তি করে নয়। ফলে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকার করোনার যাত্রা পথে ওই নাম নির্দেশিকা জারি করেছিল ধর্মীয় বিবাজনের উদ্দেশে। যা ভারতীয় গণতন্ত্রের বিরোধী।

আইনজীবী সিংভির সংযোজন, এখানে হিন্দুদের দ্বারা পরিচালিত অনেক ‘শুদ্ধ নিরামিষ’ রেস্তোরাঁ আছে। সেখানে মুসলিম কর্মচারী থাকতে পারে। তাহলে কেই কি বলতে পারে যে, আমি সেখানে খাব না? কারণ খাবার অন্য ধর্মের লোক ছুঁয়ে দিয়েছে। এ ধরণের বিষয় একাধিক মৌলিক অধিকার খর্ব করে। সমাজের একটি সম্প্রদায়ের উপর অবিচার। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চারদিন পরে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে।