অজিত দোভালের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংসদ কাঁপালেন কল্যাণ

সংসদের বাদল অধিবেশনে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে শুরু হয়েছে অধিবেশন(Kalyan Banerjee)। সেই অধিবেশনেই ভারতের নিরাপত্তা প্রধান অজিত দোভালের যোগ্যতা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন…

Kalyan Banerjee slams ajit doval

সংসদের বাদল অধিবেশনে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে শুরু হয়েছে অধিবেশন(Kalyan Banerjee)। সেই অধিবেশনেই ভারতের নিরাপত্তা প্রধান অজিত দোভালের যোগ্যতা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন চিহ্ন তুললেন। তৃণমূল সাংসদ এবং বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, “চারজন জঙ্গি এসে আমাদের দেশের ২৬ জন নাগরিককে মেরে দিয়ে গেল।

আবার তারা হেঁটে হেঁটে পাকিস্তান ফিরে গেল। অজিত দোভাল ব্যর্থ। ব্যর্থ তার ইন্টেলিজেন্স।” কল্যাণ আরও বলেন “দোভাল শুধু ইডি আর সিবিআই লেলিয়ে দিতে পারেন এছাড়া তার আরও কোনো যোগ্যতা নেই।”

   

২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নাগরিক নিহত হন। এর জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৬-৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (পিওজেকে) জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। কিন্তু ১০ মে হঠাৎ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি বিরোধীদের মধ্যে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।

কল্যাণের মন্তব্য এই বিতর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “দোভালের নেতৃত্বে গোয়েন্দা ব্যবস্থা কেন জঙ্গি হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হল? কেন জঙ্গিরা এত সহজে পালিয়ে গেল?”কল্যাণের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। তারা বলেছে “অজিত দোভাল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার একটি প্রতীক।

তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ছোট করা। তৃণমূলের এই মন্তব্য দেশবিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন।” বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য শুধু অজিত দোভালের প্রতি নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতি অপমান।

Advertisements

তৃণমূলের এই ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য।”তৃণমূলের একাংশ কল্যাণের সমর্থনে বলছেন, তিনি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তবে, এই ব্যাখ্যা বিজেপির সমালোচনার ঝড় থামাতে পারেনি।সোশাল মিডিয়ায় কল্যাণের মন্তব্য ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

একজন নেটিজেন লিখেছেন, “অজিত দোভালের মতো অভিজ্ঞ নিরাপত্তা উপদেষ্টার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন।” আরেকজন লিখেছেন, “কল্যাণ ঠিকই বলেছেন। পহেলগাঁও হামলা গোয়েন্দা ব্যর্থতার প্রমাণ। সরকারের উচিত এর জবাব দেওয়া।” অজিত দোভাল, যিনি ২০১৪ সাল থেকে এনএসএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁর নেতৃত্বে ভারতের নিরাপত্তা নীতি এবং কূটনৈতিক কৌশল বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

ডার্বির রং লাল-হলুদ, হৃদয় জিতল দর্শকদের ডার্বি, লেটার মার্কস আইএফএ-র

তবে, পহেলগাঁও হামলা এবং যুদ্ধবিরতির ঘোষণা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন তাঁর ভূমিকার উপর নতুন আলোকপাত করেছে। কল্যাণের মন্তব্য তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও তীব্র করেছে। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিতর্ক তৃণমূলের জন্য রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।