কেদারনাথ মন্দির থেকে উধাও ২২৮ কেজি সোনা! চাঞ্চল্যকর দাবি জ্যোতির্মঠ শঙ্করাচার্যের

লোকসভা ভোটে দেশে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তারপরই প্রকাশ্যে এসেছে নিটে কারচুপির ঘটনা। যা নিয়ে যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এরই মধ্যে বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়ালেন…

লোকসভা ভোটে দেশে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তারপরই প্রকাশ্যে এসেছে নিটে কারচুপির ঘটনা। যা নিয়ে যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এরই মধ্যে বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়ালেন জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য (Kedarnath Temple) স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ।

সোমবার তিনি দাবি করেছেন, উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি কেদারনাথ মন্দির থেকে ২২৮ কেজি সোনা উধাও হয়ে গিয়েছে।

   

স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কেদারনাথে সোনা কেলেঙ্কারি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ উঠছে না কেন? সেখানে কেলেঙ্কারি করার পর এবার দিল্লিতে তৈরি হবে কেদারনাথ? এরপর আরেকটি কেলেঙ্কারি হবে। কেদারনাথ থেকে ২২৮ কেজি সোনা উধাও হয়েছে। কোনও তদন্ত শুরু হয়নি। এর জন্য দায়ী কে? এখন ওরা বলছে, দিল্লিতে কেদারনাথ বানাবে, এটা হতে পারে না।

দিল্লিতে আরও একটি কেদারনাথ মন্দির নির্মাণের প্রতিবাদের মধ্যেই স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দের এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান পুরোহিতরা। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ১০ জুলাই দিল্লিতে এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।

গোটা রাজ্যে আবেদনকারীর সংখ্যা ৮, মুখ থুবড়ে পড়ল মোদী-শাহ’র সাধের CAA

Advertisements

সোমবার শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করে স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। আর তারপরই উদ্ধবের সমর্থনে বিরাট মন্তব্য করেন তিনি। স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেন, উদ্ধব ঠাকরে প্রতারিত হয়েছেন। উদ্ধই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দের কথায়, আমরা সকলেই সনাতন ধর্মের অনুসারী। আমাদের কাছে ‘পাপ’ এবং ‘পুণ্য’-র একটি সংজ্ঞা রয়েছে। সবচেয়ে বড় পাপ হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা। প্রতারিত হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। আমি তাঁকে বলেছিলাম যে তাঁকে বিশ্বাসঘাতকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ওনার জন্য আমরা সবাই ব্যথিত। উনি আবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের যন্ত্রণা দূর হবে না।

বাড়ছে অনলাইনে খাবারের খরচ, সুইগি-জোমাটোর চার্জে লংজাম্প

একই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে হিন্দু হতে পারে না। তাঁর কথায়, যে সহ্য করে সে হিন্দু। মহারাষ্ট্রের মানুষ এতে ব্যথিত এবং এটি নির্বাচনেও ফলাফলেও সেটাই স্পষ্ট হয়েছে। যারা নিজেদের নেতা নির্বাচন করে, তাঁদের প্রতি এটি অসম্মান ছাড়া আর কিছু নয়। সরকার ভাঙা এবং জনগণের রায়কে অপমান করা বড় অন্যায়।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News