১২ জন স্বামী! সবাইকে পথে বসিয়ে পালাল বউ

আমরা সাধারণত বিয়ের সংজ্ঞা বলতে বুঝি যেখানে একজন নারী ও পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসারধর্ম করে। তবে এবার নজরে আসলো এক বিরল ঘটনা। যেখানে…

আমরা সাধারণত বিয়ের সংজ্ঞা বলতে বুঝি যেখানে একজন নারী ও পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসারধর্ম করে। তবে এবার নজরে আসলো এক বিরল ঘটনা। যেখানে বিয়েটাকেই ব্যবসা বানিয়ে বসেছে এক মহিলা।

গত সপ্তাহে রাজৌরির নওশেরা শহরের বাসিন্দা বছর ত্রিশের শাহিন আখতার নামের এক মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযোগ তিনি এক ডজনেরও বেশি পুরুষকে বিয়ে করে এবং পরে তাদের কাছ থেকে টাকা ও সোনা নিয়ে প্রতারণা করে।

জানা গিয়েছে ওই মহিলা জম্মু ও কাশ্মীরের এক ডজনেরও বেশি পুরুষকে বিয়ে করে প্রতারণা করে। অভিযুক্ত মহিলা পুরুষদের বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে মেহের টাকা এবং সোনা নিয়ে পালিয়ে যেত। একের পর এক বিয়ে আর একের পর এক প্রতারণা।

শাহিন আখতার (৩০) গত সপ্তাহে রাজৌরির নওশেরা শহরে গ্রেফতার হন। মোহাম্মদ আলতাফ মার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল, যিনি শাহীনকে বিয়ের পরে তাকে প্রতারণা করার অভিযোগ করেছিলেন।

৫ জুলাই একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার ফলে মহিলার সকল কালো কীর্তি ধরা পড়েছে। কারণ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি শাহীনের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ নিয়ে থানার গারস্থ হয়। তবে এখনও পর্যন্ত প্রতারণার শিকার হওয়ার সমস্ত পুরুষদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

বডগামের এক প্রতারিত পুরুষ মহম্মদ আলতাফ মীর অভিযোগ করেছেন যে, একজন তার সঙ্গে শাহীনের পরিচয় করিয়ে দেয়। এর পরে তারা দুজন বিয়ে করে এবং চার মাস একসঙ্গে ব্যবসা করে। তার কিছুদিন পরেই ওই অভিযুক্ত মহিলা তার নগদ টাকা ও সোনা নিয়ে পালিয়ে যায়।

মীরের অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪২০ এবং ১২০খ এর অধীনে মধ্য কাশ্মীরের বুডগামে শাহিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

১৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একই দিনে, শাহীন আগাম জামিন চাইছে শুনে একদল লোক বুদগাম কোর্ট কমপ্লেক্সে জড়ো হয়েছিল। তারা দাবি করেছে যে সে তাদের বিয়ে করেছে এবং তারপর হঠাৎ করে তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এর সঙ্গে লুটপাট করেছে তাদের টাকা পয়সা এবং সোনার গয়না।

মুসলমানদের একটি চুক্তি বিবাহ আছে এবং মেহর, বিয়ের সময় নির্ধারিত একটি পরিমাণ, যা বড় কনেকে প্রদান করবে এমন নিয়ম রয়েছে। প্রতি বার বিয়ে করার কয়েক মাসের মধ্যেই মেহের টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় শাহীন।