Jharkhand: মাওবাদীদের বিস্ফোরণে উড়ল রেললাইন

নিউজ ডেস্ক: রেললাইনে বিস্ফোরণের (blast) ফলে লাইনচ্যুত হল একটি ডিজেলচালিত ইঞ্জিন (engine)। তবে এই বিস্ফোরণে হতাহত হওয়ার কোনও খবর নেই। মাওবাদীরা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে…

Jharkhand: Maoists blew up the railway line

নিউজ ডেস্ক: রেললাইনে বিস্ফোরণের (blast) ফলে লাইনচ্যুত হল একটি ডিজেলচালিত ইঞ্জিন (engine)। তবে এই বিস্ফোরণে হতাহত হওয়ার কোনও খবর নেই। মাওবাদীরা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। শনিবার ভোরে ঝাড়খন্ডের ধানবাদ (dhanbad) ডিভিশনে এই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রবল বিস্ফোরণের কারণে রেললাইনের বেশ কিছুটা অংশ উড়ে যায়।

পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গারওয়া রোড (garwaya road) ও বারকানা (barkana) সেকশনের মাঝে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। গত পাঁচ দিনের মধ্যে এই নিয়ে বিহার ও সংলগ্ন এলাকায় দুবার মাওবাদী হামলা হল। এর আগে গত রবিবার বিহারের গয়া (gaya) জেলায় একটি পরিবারের ৪ জনকে ফাঁসি দিয়ে খুন করেছিল মাওবাদীরা। এমনকী, ওই পরিবারটির বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছিল মাওবাদীরা।

   

Jharkhand: Maoists blew up the railway line

এখানেই শেষ নয়, কী কারণে ওই পরিবারটির সব সদস্যকে এভাবে খুন করা হয়েছিল তাও বাড়ির দেওয়ালে লিখে রেখে গিয়েছিল মাওবাদীরা। তারা জানিয়েছিল পুলিশের চরবৃত্তি করার জন্যই এই পরিবারটিকে সাজা দেওয়া হল। যদিও পুলিশের দাবি ছিল, ওই পরিবারটি কখনওই পুলিশের হয়ে কাজ করতো না। যে চার মাওবাদী খতম হয়েছিল তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা পড়েছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে মৃত পরিবারের কোনও সংযোগ ছিল না। এরই মধ্যে ১৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের পুণেতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে ২৬ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার ভোরের এই বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হলেও বড় মাপের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় রেল পুলিশ জানিয়েছে, ওই লাইন দিয়ে এদিন সকালে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেনের যাওয়ার কথা ছিল। যদি দূরপাল্লার কোনও ট্রেন এভাবে লাইনচ্যুত হত তবে নিশ্চিতভাবেই অনেকেই হতাহত হতেন। ইতিমধ্যেই রেল পুলিশ বিস্ফোরণস্থল ও সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। কোথাও কোনও মাওবাদী লুকিয়ে আছে কিনা তা জানতেই তল্লাশি অভিযান চলছে।

তবে এদিন বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিস্ফোরণের কারণে রেললাইন উড়ে যাওয়ায় ওই লাইন দিয়ে চলা বেশকিছু ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়। বেশকিছু ট্রেন দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে। দুপুরের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে শুরু হয় রেল চলাচল।