জমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন

  এই মুহূর্তের সবথেকে বড় খবর হয়ে গেল দেশে। টানা কয়েক মাস পর জমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)।    …

hemant জমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন

 

এই মুহূর্তের সবথেকে বড় খবর হয়ে গেল দেশে। টানা কয়েক মাস পর জমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)।

   

আজ শুক্রবার জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিন মঞ্জুর করল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। গত ৩১ জানুয়ারি হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত একটি কেলেঙ্কারির মামলায় অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। টানা ৫ মাস ধরে জেলে বন্দি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। 

বিচারপতি রঙ্গন মুখোপাধ্যায়ের আদালত তিন দিন ধরে এই আবেদনের উপর যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে ১৩ জুন রায়দান সংরক্ষিত রাখে। জমি কেলেঙ্কারিতে ৩১ জানুয়ারি রাতে হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর থেকে রাঁচির বিরসা মুন্ডা সেন্ট্রাল জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি। জামিনের আবেদনের শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং মীনাক্ষী অরোরা হেমন্ত সোরেনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করার সময় বলেছিলেন যে ইডি যে জমিতে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগে ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই জমিটি ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের অধীনে “ভুঁইনহারি” প্রকৃতির এবং এটি কোনও পরিস্থিতিতেই কোনও ব্যক্তির কাছে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যায় না।

এই জমির লিজ রাজকুমার পাহানের নামে। জমিটি হিলারিয়াস কছাপ নামে এক ব্যক্তি চাষ করেছিলেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ তার নামে। এর সঙ্গে হেমন্ত সোরেনের কোনও সম্পর্ক নেই। হেমন্ত সোরেনের আইনজীবীর দাবি, ২০০৯-১০ সালে যখন হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে এই জমি দখলের অভিযোগ ওঠে, তখন সেখানে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ইডি এই মামলার কার্যক্রম শুরু করে এবং শুধুমাত্র কিছু লোকের মৌখিক বক্তব্যের ভিত্তিতে বলা হয় যে এই জমিটি হেমন্ত সোরেনের।