ঝাড়খণ্ডে ফের গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ৩ মাওবাদী

Jharkhand Encounter

ঝাড়খন্ড, ২৪ সেপ্টেম্বর: ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত কেচকি গ্রামের কাছে (Jharkhand Encounter) একটি জঙ্গল এলাকায় বুধবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াইয়ে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন ঝাড়খণ্ড জন মুক্তি পরিষদের (জেজেএমপি) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এই ঘটনা সকাল আটটা নাগাদ সংঘটিত হয়।

নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মাওবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার এবং গুমলা পুলিশের একটি যৌথ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়, যা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে। আইজি অপারেশন মাইকেল রাজ এস জানিয়েছেন, “আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলাম যে গুমলা জেলার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায় জেজেএমপি-র মাওবাদীরা উপস্থিত রয়েছে।

Advertisements

এই তথ্যের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার এবং গুমলা পুলিশের একটি যৌথ দলকে পাঠানো হয়। সকাল আটটার দিকে গুলির লড়াই শুরু হয়, যাতে তিনজন জেজেএমপি মাওবাদী নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭, একটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি সাধারণ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি, তবে তদন্ত চলছে।

এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও সদস্য হতাহত হননি বলে জানা গেছে। তবে, মাওবাদীদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়েছে বাহিনীকে। গুমলা জেলা, যা দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদী কার্যকলাপের জন্য কুখ্যাত, সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। জেজেএমপি, যিনি ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী আন্দোলনের একটি শাখা হিসেবে পরিচিত, তারা এই অঞ্চলে সশস্ত্র কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে।

এই ঘটনা ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর চলতি অভিযানের একটি অংশ। গত কয়েক বছরে, রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপ কিছুটা হ্রাস পেলেও, গুমলা, লাতেহার, এবং চাইবাসার মতো জেলাগুলিতে এখনও তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নিরাপত্তা বাহিনী এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ক্রমাগত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাচ্ছে।

মেট্রোর জন্যেই জলে ডুবেছে সল্টলেক-নিউ টাউন, বিস্ফোরক মমতা

এই ঘটনার পর গুমলা জেলায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে, যাতে অন্য কোনও মাওবাদী গোপন আস্তানা থাকলে তা শনাক্ত করা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তবে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর এই সাফল্যকে স্বাগত জানিয়েছে।

Advertisements