গণনার আরও অনেক রাউন্ড বাকি। দুর্নীতির রোজগারে ‘অপা’ গোহারা হারল। পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে জেলে থাকা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বান্ধবী অর্পিতা (অপা) যে কালো টাকার (Black Money) পাহাড় তৈরি করেছিল তা ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস (Congress) সাংসদ ধীরজ সাহুর (Dhiraj Sahu) গুপ্তধনের কাছে নগন্য বলেই মনে করছেন আয়কর অফিসাররা। তাদের ইঙ্গিত কংগ্রেস সাংসদের জমানো কালো টাকার পরিমাণ ৫০০ কোটির বেশি হতে চলেছে। গণনা চলছে।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের আমলে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ১০০ কোটির কিছু বেশি কালো টাকা ততকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী অর্পিতার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আর ঝাড়খণ্ড থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর কালো টাকার পরিমাণ চমকে দিচ্ছে আয়কর গো়য়েন্দাদের। ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা দুই রাজ্যে ওই সাংসদের বিভিন্ন আস্তানায় চলছে অভিযান। আয়কর আধিকারিকরা জানান উদ্ধার হওয়া নোটের বেশির ভাগই ৫০০ টাকার। ১০০ এবং ২০০ টাকার নোটও রয়েছে প্রচুর।
চার দিন ধরে চলছে অভিযান। কংগ্রেস সাংসদ সাহু এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিভিন্ন ডেরা থেকে উদ্ধার করা টাকা গুণতে গলদঘর্ম হাল আয়কর অফিসারদের। ব্যাঙ্ক কর্মীদের এনে গণনার কাজ চালানো হচ্ছে। তারাও হিমশিম খাচ্ছেন।
শনিবার, আয়কর অফিসার দল ওড়িশার বালাঙ্গির শহরের সুদপাডায় অবস্থিত একটি মদের ডিস্টিলারির ম্যানেজার বান্টির বাড়িতে তল্লাশির সময় ১৯ টি বাক্সে ভরা কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে। একই সময়ে, সম্বলপুরের বড়বাজারে অবস্থিত মেসার্স বলদেব সাহু অ্যান্ড সন্সের মদের চোলাইয়ের অফিস থেকেও বেশ কয়েকটি নোট ভর্তি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে, বৌধ ডিস্টিলারি প্রাইভেট লিমিটেড এবং বলদেব সাহু ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির অফিস থেকে দশটিরও বেশি ক্যাবিনেটে রাখা মুদ্রা ও নোটের বিশাল বান্ডিল উদ্ধার করে আয়কর বিভাগ। ঝাড়খণ্ডেও বিপুল টাকা মিলেছে। সবমিলে কালো টাকার পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিছু লকার এবং বন্ধ কক্ষ এখনো খোলা হয়নি।
সম্বলপুর স্টেট ব্যাঙ্কের ডিজিএম মনমোহন সোয়েন জানান, এসবিআই বালাঙ্গির এবং সম্বলপুর শাখায় ৪০টি বড় এবং ছোট মেশিনের মাধ্যমে নোট গণনা করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া একটি পাঁচ লাখ টাকার প্যাকেটের গায়ে ‘ইন্সপেক্টর তিওয়ারি’ লেখা ছিল। এই ব্যক্তি কে তা জানার চেষ্টা করছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই ব্যক্তি পুলিশ বা আবগারি দফতরের সঙ্গে যুক্ত একজন পরিদর্শক, যার জন্য প্যাকেটে টাকা রাখা হয়েছিল।