রাঁচি তোলপাড়। গুয়াহাটি তোলপাড়। কলকাতায় শোরগোল। তিনটি রাজ্যের রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে তুলকালাম চলছে। সেই সঙ্গে পুরো দেশ। অভিযোগ, অ-বিজেপি শাসিত (Jharkhand) ঝাড়খণ্ডে ‘অপারেশন লোটাস’ ছক শুরু করেছে বিজেপি। আরও অভিযোগ, এই কাজে জড়িত অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড.হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর নাম লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন ঝাড়খণ্ডেরই কংগ্রেস বিধায়ক জয়মঙ্গল সিং। প্রতিবেশি রাজ্যের যে তিন বিধায়ক হাওড়ার রানিহাটিতে বিপুল অর্থ সহ শনিবার ধরা পড়েছে তাদের জেরা করছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি।
ঝাড়খণ্ডের বেরমো কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক জয়মঙ্গল সিং (অনুপ সিং) রাঁচিতে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি লিখেছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে তাঁর রাজ্যের তিন বিধায়কের দেখা করার কথা ছিল।
জয়মঙ্গল সিং আরও লিখেছেন, রফা চূড়ান্ত করতে কলকাতা থেকে গুয়াহাটি গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে আলোচনার বার্তা এসেছিল। আরও কয়েকজন যাঁরা অগ্রিম টাকা নিয়ে কলকাতায় বসে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন। এই চিঠি প্রকাশের পরেই অসমে তীব্র চাঞ্চল্য। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিমন্ত।
পূর্ব ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের সুপার হেভিওয়েট বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে যে অ-বিজেপি জোট সরকারের পতন হয় তখন তিনি বিদ্রোহী শিব সেনা বিধায়কদের গুহাহাটিতে বিলাসবহুল হোটেলে রেখেছিলেন। অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে অপারেশন লোটাস চালানো হয়। এতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
ঝাড়খন্ডের বিধায়কদের দাম কত? পড়ুন:
Jharkhand: সরকার ফেলতে কংগ্রেস বিধায়কদের ১০ কোটি টাকার ঘুষ, হাওড়ায় উদ্ধার বিপুল অর্থ
ঝাড়খন্ডের কংগ্রেস বিধায়ক জয়মঙ্গল সিং থানায় যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে তাঁর রাজ্যের তিন বিধায়কের নাম উল্লেখ করেন। এরা হলেন রাজেশ কাশ্যপ, নমন বিক্সাল কোঙ্গারি এবং ইরফান আনসারি।
তিনি আরও দাবি করেন, কলকাতা থেকে বিধায়ক কেনা বেচার কাজ চলেছে। কংগ্রেস বিধায়কের চিঠির জেরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলও সরগরম। বাংলায় বসে প্রতিবেশি রাজ্যের সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্তে ক্ষুব্ধ এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, সংসদ অচল করতে বিজেপি অন্য নানা উপায় খুঁজছে।
দিল্লিতে ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়, ঝাড়খন্ডের জোট সরকার স্থায়ী এবং শক্তিশালী। তিন বিধায়ক টাকার বিনিময়ে ঝাড়খণ্ডের পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সব নজরে রেখেছেন।