ফের একবার আকাশে উড়তে দেখা যাবে জেট এয়ারওয়েজকে (Jet Airways)। শীঘ্রই এই সংস্থাটি উড়ান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিমান সংস্থাগুলি তাদের বিমানের বহরের সংখ্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। জেট এয়ারওয়েজ এয়ারবাসের কাছ থেকে ৫০ টি জেটের কাছাকাছি এ ২২০ জেট কিনতে প্রস্তুত, একটি ইউরোপীয় সংস্থা যা বিমান তৈরি করে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মনে করা হচ্ছে জেট আইওয়েজ ও এয়ারবাসের মধ্যে একটি এ২২০ বিমান কেনার চুক্তি শীঘ্রই সম্পন্ন হতে পারে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ জেট এয়ারওয়েজকে উড়ানের এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট দিয়েছে, যার পরে বিমান সংস্থাটি তার অপারেশনাল ফ্লাইট পরিচালনা পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হবে। জেট এয়ারওয়েজ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মধ্যে তার প্রথম অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট শুরু করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে জেট এয়ারওয়েজও শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রুটেই উড়ান চালাবে। বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ-কে সন্তুষ্ট করার জন্য জেট এয়ারওয়েজের প্রমাণকারী বিমানটি ১৫ মে থেকে ১৭ মে-র মধ্যে বেশ কয়েকবার দিল্লি থেকে উড্ডয়ন করেছিল। প্রমাণ হওয়া উড়ানে ডিজিসিএ-র কর্তাদের সঙ্গে বিমান সংস্থার কর্তারা যাত্রী হিসেবে যাতায়াত করেছিলেন। ক্রেবিনের সাথে একজন ক্রু সদস্যও ছিলেন। জেট এয়ারওয়েজের রয়েছে ৯টি বিমান।
২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কারণে সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে, এর নরেশ গোয়েল জেট এয়ারওয়েজের প্রবর্তক ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিলের পর, জেট এয়ারওয়েজ দুর্বল আর্থিক অবস্থার কারণে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
বিমান, বহর পরিকল্পনা, নেটওয়ার্ক, পণ্য আনুগত্য গ্রোগ্রাম আগামী দিনে ঘোষণা করা হবে। তবে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা সমর্থিত আকাসা এয়ারওয়েজের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জ পেতে চলেছে জেট এয়ারওয়েজ। আকাশা এয়ারওয়েজও শীঘ্রই তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ডিজিসিএ-র কাছ থেকে এয়ার অপারেটরের শংসাপত্র পেয়েছে বিমান সংস্থাগুলি।