Ram Mandir: রাম মন্দিরে চলল গুলি, মৃত্যু জওয়ানের

  আচমকা এবার গুলি চলল বিশ্ব বিখ্যাত রাম মন্দিরে (Ram Mandir)। জানা গিয়েছে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা এক এসএসএফ জওয়ান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা…

 

আচমকা এবার গুলি চলল বিশ্ব বিখ্যাত রাম মন্দিরে (Ram Mandir)। জানা গিয়েছে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা এক এসএসএফ জওয়ান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। বুধবার ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে এ ঘটনাটি ঘটেছে। যুবকের নাম শত্রুঘ্ন বিশ্বকর্মা (২৫)।

   

সূত্রের খবর, ঘটনার সময় কোটেশ্বর মন্দিরের সামনে যে ভিআইপি গেট তৈরি হচ্ছে, তার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই জওয়ান। ২৫ বছরের শত্রুঘ্ন আম্বেদকর নগরের বাসিন্দা ছিলেন। রাম মন্দির চত্বরে গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সহকর্মীরা। সেখানে তাঁরা শত্রুঘ্নকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সহযোদ্ধারা তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত জওয়ানকে ট্রমা সেন্টারে রেফার করা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জওয়ানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে অযোধ্যা মন্দির চত্বরে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন আইজি ও এসএসপি। ফরেন্সিক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। আপাতত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।

শত্রুঘ্ন বিশ্বকর্মা ২০১৯ ব্যাচের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি আম্বেদকর নগরের সম্মানপুর থানার কাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। এসএসএফে পোস্টিং ছিল। বছর চারেক আগে মন্দির রক্ষার জন্য এসএসএফ বাহিনী গঠন করেছিল যোগী সরকার। মৃত জওয়ানের সহকর্মীরা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে একটু আনমোনা ছিলেন জওয়ান। ঘটনার আগের মুহূর্ত অবধি শত্রুঘ্ন মোবাইলে তাকিয়ে ছিলেন। কিছু দিন কিছু একটা নিয়ে মন খারাপও ছিল তার। এরপর আজ এই ঘটনা। তদন্তের স্বার্থে তাঁর মোবাইলও পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত জওয়ানের পরিবারকে খবর দিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে জওয়ানের মৃত্যুর পর রামজন্মভূমি চত্বরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গুলি চালানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধনের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল। এর আগে গত মার্চে মন্দিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পিএসি প্লাটুন কমান্ডারের বুকে গুলি লাগে।