ভারত চিন অচলাবস্থা মেটাতে এবার বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক

নজরে ভারত ও চিনের সম্পর্কের শৈত্যবৃদ্ধি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এই সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় বসতে পারেন একটি বৈঠকে। পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনী…

নজরে ভারত ও চিনের সম্পর্কের শৈত্যবৃদ্ধি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এই সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় বসতে পারেন একটি বৈঠকে। পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর মধ্যে চলমান অচলাবস্থা কাটাতে এই পদক্ষেপ দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বলে খবর।

জয়শঙ্কর এবং ওয়াং সাত ও আটই জুলাই বালিতে G20 বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন। বৈঠকটি ইন্দোনেশিয়ার বিদেশমন্ত্রী রেতনো মারসুদির মাধ্যমে আয়োজিত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইন্দোনেশিয়া G20 শীর্ষ সম্মেলনের রাস্তা তৈরি করবে, যা এই বছরের শেষের দিকে রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো হোস্ট করবেন।

   

ভারত ও চিন বালিতে G20 বৈঠকের সাইডলাইনে জয়শঙ্কর এবং ওয়াংয়ের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করার চেষ্টা করছে। এই নিয়ে চলছে চূড়ান্ত আলোচনা। যদি বৈঠকটি নির্ধারিত হয়, তবে ভারত ও চিনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই কিছুটা প্রশমিত হতে পারে বলে আশা করছে নয়াদিল্লি।

ওয়াং সম্প্রতি চিনে ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত প্রদীপ রাওয়াতের সাথে বেজিংয়ে বৈঠক করেছেন এবং জোর দিয়েছিলেন যে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অভিন্ন স্বার্থ পার্থক্যের চেয়ে অনেক বেশি। ভারত ও চিনের উচিত সীমানা নিয়ে বিরোধকে আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ই জুন গালওয়ান উপত্যকায় পিএলএ সৈন্যদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কমপক্ষে ২০ জন জওয়ানকে হারায় ভারত। তারপর থেকে, ভারত ও চিন স্ট্র্যাটেজিক এরিয়া দখলের ঠান্ডা লড়াইয়ে সামিল। চলছে কর্পস কমান্ডার স্তরের একাধিক আলোচনা।

উল্লেখ্য, প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত, গালওয়ান ভ্যালি ও গোগরা হট স্প্রিং এলাকা নিয়ে ভারত চিন জটিলতা কিছুটা কমেছে। জানা গিয়েছে আপাতত দুই দেশের মধ্যে ইস্যুগুলি হল হট স্প্রিংয়ের ১৫ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট, দেপসাং ও দেমচকের অচলাবস্থা কাটানো। সূত্রের খবর এখনও পূর্ব লাদাখের এলাকাগুলির সাথে সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান হয়নি। হটস্প্রিংয় সংলগ্ন ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে চিনা সেনাদের সরিয়ে দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি কাংকা লা-র কাছে গোগরা হটস্প্রিং এলাকায় রীতিমত ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করেছে চিনা সেনা।

সেখান থেকে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্যতম ইস্যু ছিল ভারতের কাছে। একই সঙ্গে দৌলতবেগ-ওল্ডি সেক্টরের ডোপসাং বুলেজ ও চার্ডিং নল্লায় ভারতীয় সেনাদের টহলের অধিকার পাওয়া। উভয় পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর যুদ্ধবিমান সহ প্রায় পঞ্চাশ হাজার সেনা এবং ভারী সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে।