আসন পুনর্বিন্যাসে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুতে বাড়ল বিধানসভা কমল কাশ্মীরে

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। শেষ হল জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত চূড়ান্ত খসড়া রিপোর্ট জমা পড়েছে। এই রিপোর্ট…

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। শেষ হল জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া।

বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত চূড়ান্ত খসড়া রিপোর্ট জমা পড়েছে। এই রিপোর্ট জমা পড়ায় নির্বাচন করতে আর কোনও বাধা রইল না।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর যখন পূর্ণ রাজ্য ছিল তখন এখানকার বিধানসভার আসন সংখ্যা ছিল ১১১টি। যার মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ২৪ টি আসন বরাবর খালি রাখা হয়। লাদাখে ছিল ৪টি। জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে ছিল ৮৩ টি।

আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে জম্মু-কাশ্মীরের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ৯০টি। যার মধ্যে কাশ্মীরে ৪৭ টি এবং জম্মুতে ৪৩ টি। জম্মুতে ৬টি এবং কাশ্মীরে ১ টি আসন বাড়ল। আবার কাশ্মীর থেকে ১টি আসন জম্মুতে চলে গিয়েছে। এই আসনগুলির মধ্যে তপসিলি জাতির জন্য ৭ টি ও উপজাতির জন্য ৯টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আসনগুলি অবশ্য শূন্যই রাখা হয়েছে।এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর থেকে লোকসভায় থাকছে পাঁচটি আসন।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দেওয়া হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এর পরেই নিশ্চিত হয়ে যায় সেখানে লোকসভা ও বিধানসভা আসনের পুনর্বিন্যাস করতে হবে। প্রায় আড়াই বছর পর আসন পুনর্বিন্যাসের সেই প্রক্রিয়া শেষ হল।

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই পুনর্বিন্যাসের পিছনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। গেরুয়া শিবির নিজেদের রাজনৈতিক অঙ্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে আসন পুনর্বিন্যাস করেছে। জম্মুতে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই সেখানে আসন বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরে সেভাবে আসন বাড়েনি। একাধিক আসনের এলাকা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলিকে একদিকে আনা হয়েছে।

মনে করা হচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষমতা দখলকে পাখির চোখ করেই আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ করেছে মোদী সরকার।