পাটনা: আসন্ন বিহার নির্বাচনে (Bihar assembly Election)নিজেদের আসন সংখ্যা কমাতে পারে কংগ্রেস (Congress)। ২৪৩ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেসের মাত্র ৫৮ টি আসনে লড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যা গত ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ১২ টি আসন কম।
এখনও পর্যন্ত ২৫ জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত কোর্টে পেরেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়কের মধ্যে ১৫ জনই এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গিয়েছে। দুইজন বিধায়কের প্রার্থী হওয়ার বিষয় এখন “স্থগিত” রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দুটি আসনে নতুন প্রার্থী দিতে পারে কংগ্রেস (Congress)। অথবা আরজেডি-র সঙ্গে আসন বদলের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
গত নির্বাচনের খারাপ ফলের জন্যই কমাতে পারে আসন
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৭০-এর মধ্যে মাত্র ১৯ টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস (Congress)। অন্যদিকে, চেনারি আসনের মুরারি প্রসাদ গৌতম এবং বিক্রম আসনের সিদ্ধার্থ সৌরভ আসন্ন নির্বাচনে দলবদলু হয়ে বিজেপির টিকিটে লড়তে পারেন। ফলে, এই নির্বাচনে আরজেডি-কে প্রাধান্য না দিলে এই নির্বাচনেও ইন্ডি জোটের জেতার সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ হয়ে পড়বে বলে মত রাজনীতিকদের।
পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করলেও কংগ্রেসের অন্দরে ২৫ জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আকাশ কুমার, প্রাক্তন বিহার কংগ্রেস প্রধান এবং রাজ্যসভার সাংসদ অখিলেশ প্রসাদ সিংয়ের ছেলে এবং বিহার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান রাজেশ কুমার (কুটুম্বা)।
সেইসঙ্গে কংগ্রেসের হয়ে ময়দানে নামতে পারেন বিশ্বনাথ রাম (রাজপুর), মুন্না তিওয়ারি (বক্সার), অজিত শর্মা (ভাগলপুর), বিজেন্দ্র চৌধুরী (মুজাফফরপুর), অজয় সিং (জামালপুর), ছত্রপতি যাদব (খাগড়িয়া), আনন্দ শঙ্কর সিং (ঔরঙ্গাবাদ), মনোহর প্রসাদ (মনিহারি), সন্তোষ রাহমান (আবহারা), আব্রাহারি (মহিলাপুর) প্রত্যাশিত। শাকিল আহমেদ খান (কাদওয়া), মোহাম্মদ আফাক আলম (কসবা), ইজহারুল হুসেন (কিশানগঞ্জ) এবং নীতু কুমারী (হিসুয়া)।
গত নির্বাচনে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও আকাশ কুমার (কুর্থ), গজানন শাহি (বারবিঘা), মন্তন সিং (ওয়ারসালিগঞ্জ), অনিল সিং (হারনাউত), পুনম পাসওয়ান (কোধা), অমিত কুমার তুন্না (রিগা) এবং বান্টি চৌধুরী (সিকান্দারা)-এর উপরে ২০২৫ এও আস্থা রাখতে পারে কংগ্রেস বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০২০ নির্বাচনের ফলাফল
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Assembly Election), আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের মধ্যে মহাজোট এনডিএকে কঠিন টক্কর দিয়েছিল। ১১০টি আসন এবং ৩৭.২৩% ভোট জিতেছিল মহাজোট (এনডিএ-র সংখ্যা থেকে মাত্র ০.০৩% কম)। বিশেষকরে, উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফল করেছিল আরজেডি।
১৪৪টি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আসনের মধ্যে ৭৫টি আসন এবং ২৩.১১% ভোট পেয়ে মহাজোটের বৃহত্তম দল হিসেবে জায়গা করে নেয় তেজস্বীর দল। বাম দলগুলি ৪.৬৪% ভোট পেয়ে ১৬টি আসন জিতেছিল, কিন্তু কংগ্রেস পিছিয়ে ছিল। ৯.৪৮% ভোট পেয়ে ৭০টির মধ্যে মাত্র ১৯টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস।