Indo-Pak Border: পাক সীমান্তে নেই পর্যাপ্ত অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম, দেশের সুরক্ষা ঝুঁকির মুখে?

সীমান্ত পেরিয়ে ক্রমশ বাড়ছে মাদক, অস্ত্র, গোলাবারুদ পাচার। সেসব বহনকারী ড্রোনগুলি ভারতের নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষার জন্য বড়সড় হুমকি। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে বর্ডার সিকিওরিটি…

BSF on Indo-Pak Border

সীমান্ত পেরিয়ে ক্রমশ বাড়ছে মাদক, অস্ত্র, গোলাবারুদ পাচার। সেসব বহনকারী ড্রোনগুলি ভারতের নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষার জন্য বড়সড় হুমকি। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স বা বিএসএফ। সংবেদনশীল ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত (INDO-PAK BORDER) রক্ষায় নিয়োজিত বিএসএফের কাছে বিষয়টি রীতিমত সমস্যার। অপর্যাপ্ত এবং ত্রুটিপূর্ণ অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম নিয়ে নিয়েই পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে ভারত।

সূত্রের মতে, পাঞ্জাব এবং জম্মুর দীর্ঘ সীমান্ত পাহারা দেওয়া মাত্র কয়েকটি অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমের সাহায্যে সম্ভব নয়। সেনার বিশেষ সূত্রে খবর এই অ্যান্টি ড্রোনগুলির পরিসরের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ছোট ড্রোনগুলি সনাক্ত করার বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। ফলে বেশ ঝুঁকির মধ্যে থেকেই কাজ করতে হচ্ছে বিএসএফকে। কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ সনাক্ত করা হলে, সিস্টেমের ম্যানুয়াল অপারেশন জরুরি হয়ে পড়ছে।

পাকিস্তান থেকে পাওয়া গোপন তথ্য ও ড্রোন চলাচলের সন্দেহের ভিত্তিতে বিএসএফ সৈন্যদের প্রায়শই এই সিস্টেমগুলি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে রাখতে হয় অর্থাৎ স্থান পরিবর্তন করতে হয়। বিএসএফের এক আধিকারিক বলেছেন “একসঙ্গে ১০ শতাংশ এলাকা কভার করার জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিস্টেম নেই। ড্রোন-বিরোধী সিস্টেমের তীব্র ঘাটতি থাকায় আমাদের ঘন ঘন তাদের স্থান পরিবর্তন করতে হয় এবং বারবার ইনস্টল করতে হয়।”

তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সীমাবদ্ধতা ও ড্রোন-বিরোধী সিস্টেমের ঘাটতি সম্পর্কে তারা সচেতন। সেই হিসেবেই কাজ করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ড্রোন-বিরোধী সিস্টেমের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। সেগুলি পাইপলাইনে রয়েছে। সেইসব ভারতীয় কোম্পানিগুলির কাছে

বিএসএফ নির্মাতাদের সিস্টেমের ত্রুটি এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে অবহিত করেছে যাতে সেগুলি উন্নত করা যায়। বিএসএফ কর্তারা বলছেন “আমরা ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে, যারা এই অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমগুলি তৈরি করেছে তাদের ত্রুটি সম্পর্কে সময়ে সময়ে অবহিত করেছি এবং সেগুলি সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু মেশিনে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে”।