INS Vagsheer: চোখের নিমেষে শত্রুকে শেষ করবে সমুদ্রের ‘নীরব হত্যাকারী’

নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডারকে শক্তিশালী করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে ভারত। এবার ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন সংযোজন হতে চলেছে আইএনএস ওয়াগশিরের। Advertisements এই ওয়াগশিরকে সমুদ্রের…

নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডারকে শক্তিশালী করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে ভারত। এবার ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন সংযোজন হতে চলেছে আইএনএস ওয়াগশিরের।

Advertisements

এই ওয়াগশিরকে সমুদ্রের ‘নীরব হত্যাকারী’ বলা হয়, এখন আনুষ্ঠানিক উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত। উৎক্ষেপণের পর ১২ মাস ধরে পরীক্ষা করা হবে, তার পর তা ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই সাবমেরিনের বিশেষত্ব হল, এটি ৩৫০ মিটার পর্যন্ত গভীরতা পর্যন্ত গিয়ে শত্রুকে খুঁজে বের করতে পারে। এর সর্বোচ্চ গতি ২২ নোট। এই সাবমেরিনকে সাইলেন্ট কিলারও বলা যেতে পারে। যেহেতু এটিতে উন্নত অস্ত্র রয়েছে, যুদ্ধের সময়ে সহজেই শত্রুদের কাজ শেষ করে দিতে সক্ষম।

   

অত্যাধুনিক নেভিগেশন, ট্র্যাকিং সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত এই সাবমেরিন। কম আওয়াজ থেকে শত্রুকে সহজেই বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা দিয়ে ১৮টি টর্পেডো রাখার ক্ষমতা রাখে। এর মাধ্যমে শত্রুদের দিকে একযোগে ৬টি টর্পেডো ছেড়ে দেওয়া যাবে। এতে অ্যান্টি-শিপ মিসাইল মোতায়েন করা হয়েছে। এই সাবমেরিনটি খুব সহজেই ৫০ দিন পর্যন্ত জলে থাকতে পারে।

জানা গিয়েছে, এই সাবমেরিনের অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তি ফরাসি এবং স্প্যানিশ কোম্পানি দ্বারা দেওয়া হয়। যদিও, এটি ভারতীয় শৈলীতে নির্মিত হয়েছে। এটি নৌবাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প ৭৫-এর অধীনে শেষ সাবমেরিন। এর আগে আইএনএস কালাভারি, আইএনএস খান্ডেরি, আইএনএস কারঞ্জ এবং আইএনএস ভেল্লা এই প্রকল্পের আওতায় নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছে।